অপহরণ করে স্কুলছাত্রীকে দেড় মাস ধরে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২০, ০১:০৫ PM , আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২০, ০১:০৫ PM
স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর প্রায় দেড় মাস ধরে আটক রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার এজাহার ভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার দেউড়িয়া গ্রামের ইব্রাহীম হোসেনের ছেলে আব্দুল মান্নান (৪০) ও রিপন হোসেনের স্ত্রী সাথী খাতুন (৩৬)।
আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে তাদের বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে সাভার এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দেউড়িয়া গ্রামের এক কৃষকের মেয়ে গোপালনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। ওই স্কুলছাত্রীকে একই গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে মাসুদ রানা (৩৫) গোপালনগর ইউনিয়ন পরিষদের চার নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফজলুল হক বাবুর সহযোগিতায় ১৬ জুলাই গ্রামের রাস্তা থেকে অপহরণ করেন। স্কুলছাত্রী ওই দিন সকালে বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী কুনকইনা গ্রামে নানার বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে বের হয়েছিল।
এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে ১২ আগস্ট ধুনট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মাসুদ ও ফজলুল হকসহ সাত জনকে আসামি করা হয়েছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর ওই স্কুলছাত্রীকে সিরাজগঞ্জের চান্দাইকোনা বাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করেছেন তার স্বজনরা। উদ্ধারের পর ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে।
মামলার বাদী ওই স্কুলছাত্রীর মা জানান, আসামিদের গ্রেপ্তার ও বাদীকে সহযোগিতা করতে কোনো ভূমিকা রাখেননি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আহসানুল হক। মেয়েকে উদ্ধারের পর থেকে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মামলা তুলে নিয়ে মীমাংসা করতে চাপ দেন। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তার কাছ থেকে জোর করে সাদা কাগজেও স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। পুলিশের সহযোগিতা না থাকায় অনেকটা বাধ্য হয়েই সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিয়েছেন তিনি। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার রাতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) আহসানুল হককে থানা থেকে বগুড়া পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে মামলাটির তদন্তের ভার ওসিকে দেয়া হয়েছে।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আব্দুল মান্নান ও সাথী খাতুনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।