সেন্ট যোসেফে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

  © সংগৃহীত

রাজধানীর সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু জিম্মি করে ভর্তিই নয়, প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ভর্তি ও আবেদন ফিও বেশি রাখার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির অনিশ্চয়তাকে পুঁজি করে এমন ব্যবসায় মেতেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ এমনটাই দাবি করছেন শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা।

একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী, যেসব কলেজ সরকারি অনুদান পায় না কিংবা অর্ধেক অনুদান পায়, সেসব প্রতিষ্ঠান বাংলা ভার্সনে সর্বোচ্চ আট হাজার এবং ইংরেজি ভার্সনে ১০ হাজার টাকা নিতে পারবে। কিন্তু সেন্ট যোসেফ কলেজ বাংলা ভার্সনে ভর্তির জন্য নিচ্ছে ১২ হাজার দুইশ আর ইংরেজি ভার্সনে নিচ্ছে ১৩ হাজার দুইশ টাকা।

জানা গেছে ভর্তির আবেদন করার ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত টাকা নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। যেখানে সরকারিভাবে একটি কলেজে আবেদন করতে লাগে ১২০ টাকা, সেখানে প্রতিষ্ঠান নিয়েছে ২৫০ টাকা। এসব ঘটনায় অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

গত ২১ মে প্রতিষ্ঠানটি একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে পরদিনই মেধা তালিকায় স্থান প্রাপ্তদের ভর্তির নির্দেশ দেয়া হয়। এরপর ২৩ মে প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ করে। এছাড়া পরবর্তীতেও আরও একাধিক অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ব্রাদার রবি পিউরিফিকেশন বলেন, ৩০ মের মধ্যে ভর্তির কাজ শেষ করতে হবে। সে কারণে দ্রুত ভর্তি করানো হচ্ছে। এখানে জিম্মির কোনো বিষয় নেই। কাউকে জোর করে ভর্তি করানো হচ্ছে না। তবে ভর্তির পর কেউ তা বাতিল করলে টাকা ফেরত দেয়া সম্ভব নয়।।

উল্লেখ্য, নটর ডেম কলেজে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে ২৫ মে। গত কয়েকবছরের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের নটর ডেমে পড়ার প্রবণতাকে পুঁজি করে সেন্ট যোসেফ আগেই ভর্তির সময়সূচী নির্ধারণ করে থাকে। গতবছরও প্রায় তিনশ শিক্ষার্থী সেন্ট যোসেফে ভর্তির পরে নটর ডেমে চলে যায়। কিন্তু তাদের ভর্তির টাকা ফেরত দেয়া হয়নি। এ প্রক্রিয়ায় গতবছর অন্তত ৩৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ বছরও শতাধিক শিক্ষার্থী চলে যেতে পারে বলে খোদ অধ্যক্ষই স্বীকার করেছেন।

ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বলেন, নটর ডেম কলেজে ভর্তির ফল প্রকাশ হলে অনেকেই সেখানে চলে যাবে- বিষয়টি কর্তৃপক্ষ জানে। তাই তারা বারবার অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ করে ভর্তি করবে। এ প্রক্রিয়ায় অর্থ আদায় কিছুতেই মানবিক ও সুন্দর হতে পারে না।

তিনি বলেন, শতাধিক শিক্ষার্থী চলে যেতে পারে। তাই আগেভাগে ভর্তি করতে হচ্ছে। কিন্তু এ প্রক্রিয়ায় অর্থ হাতিয়ে নেয়া নৈতিক কিনা- এমন প্রশ্নে চুপ থাকেন তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence