বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের সংবাদ সম্মেলন
এবার জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনের হুশিয়ারি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৯ জুন ২০১৮, ০৫:০০ PM , আপডেট: ২৯ জুন ২০১৮, ১০:৫৬ PM
জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা ব্যবস্থা সরকারীকরণের বিষয়ে সুস্পষ্ট ঘোষণা না দিলে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম।
তবে বুধবার প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বাজেট সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছেন যেখানে জাতীয়করণ সম্পর্কে কোনও ঘোষণা ছিল না। বাজেট পাস হয়েছে বৃহস্পতিবার। অধিবেশন শেষ হবে আগামী ১২ জুলাই।
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের সভাপতি মো. সাইদুল ইসলাম সেলিম।
ফোরামের সভাপতি মো. সাইদুল ইসলাম সেলিম বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সমাপনী বাজেট বক্তব্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের ঘোষণা দেবেন এবং ইতোপূর্বে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবেন। তা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব।
তিনি বলেন, আগামী ১৩ জুলাই সব শিক্ষক সংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের লক্ষ্যে এবং জোট গঠনের জন্য গোলটেবিল বৈঠক হবে।
আন্দোলন কর্মসূচি তুলে ধরে এসময় তিনি বলেন, আগামী ২৩ থেকে ২৬ জুলাই প্রতিটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করা হবে। এছাড়া ১৫ আগস্ট জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জোটের শরীকদের নিয়ে নতুন কর্মসূচির মাধ্যমে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ হলে সব অন্যায়, বঞ্চনা, অব্যবস্থাপনার অবসান হবে বলেও দাবি করেন তিনি।
সরকার ১২ জুন ‘এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো-২০১৮’ জারি করেছে জানিয়ে মো. সাইদুল হাসান সেলিম বলেন, ‘এই কঠোর নীতিমালায় অনুযায়ী সাড়ে ৫ হাজার নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০০ প্রতিষ্ঠানও এমপিওভুক্তির যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনবল কাঠামোতে বৈষম্যমূলক ৫:২ বিধান ও অভিজ্ঞতার সীমা ৮ বছরের পরিবর্তে ১০ বছর ও ১২ বছরের পরিবর্তে ১৬ বছর করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান প্রধানের অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা রাখায় শিক্ষকরা বঞ্চনা ও বৈষম্যের শিকার হবেন। এই কালো নীতিমালা সংশোধন জরুরি।’
ফোরামের মহাসচিব মো. আব্দুল খালেক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সমাপনী বাজেট বক্তব্যে জাতীয়করণের ঘোষণা না আসলে শিক্ষকদের মহাজোট গঠন করে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। প্রয়োজনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম, হারুন অর রশিদ, যুগ্ম মহাসচিব জি এম শাওন, বাংলাদেশ শিক্ষক ইউনিয়নের সভাপতি আবুল বাসার হাওলাদার শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।