প্রধান পরীক্ষকের দায়িত্বে সহকারী লাইব্রেরিয়ান

যশোর শিক্ষা বোর্ড
যশোর শিক্ষা বোর্ড  © ফাইল ছবি

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সহকারী লাইব্রেরিয়ান হয়ে অর্থনীতি বিষয়ের প্রধান পরীক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার হিজলদি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী লাইব্রেরিয়ান মো. কামরুজ্জামানকে অর্থনীতি বিষয়ের প্রধান পরীক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।

জানা গেছে, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের খাতা বণ্টন ও পরীক্ষক নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের খাতা মূল্যায়নের বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে না বোর্ড। প্রতিষ্ঠান যে সব শিক্ষকের নাম ও বিষয় প্রস্তাব করেছে, বোর্ড কোনও যাচাই ছাড়াই পরীক্ষক এবং প্রধান পরীক্ষক নিয়োগ দিয়েছে। ফলে সদ্য শিক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে লাইব্রেরিয়ান হয়েও অর্থনীতি বিষয়ের প্রধান পরীক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন কামরুজ্জামান।

২০২৩ সালের ২৮ মার্চ থেকে শিক্ষকের স্বীকৃতি পায় লাইব্রেরিয়ানরা। তবে যে শিক্ষক যে বিষয়ে পড়ান ওই বিষয়ের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পরীক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হন। কয়েকবার পরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর দক্ষতার ভিত্তিতে তাকে প্রধান পরীক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয়। প্রধান পরীক্ষক খাতা সার্বিক মূল্যায়নের পর তা আবার নিরীক্ষকের মাধ্যমে নিরীক্ষা করা হয়। তারপর সেই নম্বর বোর্ডে জমা দেয়া হয় এবং বোর্ড তা শিক্ষার্থীর নাম-রোল অনুসারে সংযুক্ত করে। সব বিষয়ের নম্বর উঠিয়ে ফল প্রস্তুত হয়। সে হিসেবে পরীক্ষক, প্রধান পরীক্ষক, নিরীক্ষক কোনো একটি স্তরে সামান্য ভুল করলে পুরো ফল বদলে যেতে পারে।

লাইব্রেরিয়ান শিক্ষক হয়ে অর্থনীতির প্রধান পরীক্ষকের দায়িত্ব পাওয়ায় এসএসসির পরীক্ষক ও প্রধান পরীক্ষক নিয়োগের মতো এমন স্পর্শকাতর বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়নি বলে মনে করেছেন স্থানীয় শিক্ষকরা। তবে লাইব্রেরিয়ান শিক্ষক কামরুজ্জামানের দাবি তিনি গত ১০ বছর যাবৎ এসএসসির খাতা দেখছেন।

হিজলদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলাম বলেন, লাইব্রেরিয়ান শিক্ষক হয়েও কিভাবে অর্থনীতি বিষয়ের প্রধান পরীক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন তা আমার জানা নেই। তবে কম্পিউটার সম্পর্কে তাঁর (প্রধান শিক্ষক) ধারণা কম থাকায় ওটিপি যে যার মতো করে বোর্ডে পাঠিয়েছে বলে জানান তিনি। 

কর্মকর্তাদের উদাসীনতার সুযোগে কয়েকজন কর্মচারীর যোগসাজসে এমন ঘটনা ঘটছে বলে বোর্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে।

এ বিষয়ে যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহীন জানান, লাইব্রেরিয়ান শিক্ষক অর্থনীতি বিষয়ের প্রধান পরীক্ষকের দায়িত্ব পেয়ে থাকলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ