বিদেশে উচ্চশিক্ষা: জার্মানিতে পড়াশোনা করতে চাইলে জেনে নিন দরকারি ৮ বিষয়
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৫, ১০:২৮ AM , আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৯:২৯ PM

জার্মানি বর্তমানে উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় একটি গন্তব্য। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে এটি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে এর উচ্চমানের শিক্ষাব্যবস্থা, সময়ানুবর্তিতা, সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ ও সামাজিক সংহতির কারণে। প্রতিবছর হাজারো শিক্ষার্থী বৃত্তি কিংবা নিজ খরচে জার্মানিতে পড়তে যান।
জার্মান অ্যাকাডেমিক এক্সচেঞ্জ সার্ভিস (DAAD)-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে জার্মানিতে ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ১৫.১ শতাংশ। এটি স্পষ্ট করে যে, জার্মানিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে।
যারা জার্মানিতে পড়তে যেতে ইচ্ছুক, তাদের জন্য বিবেচ্য ৮টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিচে তুলে ধরা হলো—
১. আবাসন বা বাসস্থান
জার্মানিতে যাওয়ার পর বাসস্থান খুঁজে পাওয়া অনেক সময় চ্যালেঞ্জিং এবং ব্যয়বহুল হতে পারে। আগেই যদি আবাসনের ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া অনেক সহজ হয়।
২. ভাষা শিক্ষা
জার্মান ভাষার প্রাথমিক জ্ঞান থাকলে দৈনন্দিন জীবনযাপন সহজ হয় এবং স্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগে সুবিধা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের কিছু প্রোগ্রামে ইংরেজিতে পাঠদান হলেও, জার্মান ভাষা জানা থাকলে তা বড় একটি সুবিধা হিসেবে কাজ করে।
আরও পড়ুন: জেনে রাখুন বিশ্বসেরা ২৯ স্কলারশিপের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট
৩. প্রোগ্রাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ
যে বিষয়ের ওপর পড়তে ইচ্ছুক, সে বিষয়ে আগেভাগেই ভালোভাবে খোঁজখবর ও গবেষণা করা জরুরি। আবেদনপ্রক্রিয়া, সময়সীমা এবং বিকল্প কোর্স সম্পর্কে ধারণা থাকলে ভালো প্রোগ্রাম থেকে বাদ পড়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
৪. ভিসা ও রেসিডেন্স পারমিট
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশের শিক্ষার্থীদের জার্মানিতে পড়তে হলে শিক্ষার্থী ভিসা প্রয়োজন। ভিসা পাওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জার্মানিতে পৌঁছে আবাসিকতার পারমিট (residence permit) নিতে হয়।
৫. স্বাস্থ্যবিমা
জার্মানিতে স্বাস্থ্যবিমা বাধ্যতামূলক। তবে শিক্ষার্থীদের জন্য তুলনামূলকভাবে কম খরচে স্বাস্থ্যবিমার সুযোগ রয়েছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও ভিসার জন্যও অপরিহার্য।
৬. সাংস্কৃতিক অভিযোজন
জার্মান সংস্কৃতিতে সময়ানুবর্তিতা, গোপনীয়তা ও নিয়মশৃঙ্খলাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ বিষয়গুলো আগে থেকে বুঝে নিলে স্থানীয় সমাজে মানিয়ে নেওয়া সহজ হয়।
আরও পড়ুন: বিদেশে উচ্চশিক্ষা: সাশ্রয়ী খরচ ও সহজে ভিসা সুবিধা প্রাপ্তিতে আদর্শ ৮ দেশ
৭. খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ
অনেক শিক্ষার্থী খরচের ভারসাম্য বজায় রাখতে খণ্ডকালীন চাকরি করেন। তবে পড়াশোনার পাশাপাশি কাজের চাপ সামলাতে ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি, যাতে অ্যাকাডেমিক পারফরম্যান্সে প্রভাব না পড়ে।
৮. নেটওয়ার্কিং ও সামাজিক সংহতি
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাব, ইভেন্ট ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করে নতুন বন্ধু তৈরি করা যায় এবং অ্যাকাডেমিক ও পেশাগত নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা সম্ভব। এটি ভবিষ্যতের ক্যারিয়ার গঠনে সহায়ক।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি