এইচএসসিতে বরিশাল বোর্ডে সেরা ঝালকাঠি জেলা

এইচএসসিতে বরিশাল বোর্ডে সেরা ঝালকাঠি জেলা
এইচএসসিতে বরিশাল বোর্ডে সেরা ঝালকাঠি জেলা  © সংগৃহীত

বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হারে সবার শীর্ষে রয়েছে ঝালকাঠি জেলা। এ জেলায় মোট পাসের হার ৮৫ দশমিক ৯৫। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভোলা জেলার পাসের হার ৮৪ দশমিক ৩৬। আর গত বছর দ্বিতীয় স্থানে থাকা বরিশাল জেলা ৮৩ দশমিক ৯৪ পাসের হার নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে এবার। এছাড়া চতুর্থ অবস্থানে থাকা পিরোজপুর জেলার পাসের হার ৮২ দশমিক ৯৪।

পঞ্চম অবস্থানে থাকা বরগুনা জেলার পাসের হার ৭৯ দশমিক ২। আর সবার শেষে থাকা পটুয়াখালী জেলার পাসের হার ৭৪ দশমিক ৮২। তবে বিগত বছরের থেকে এবারে সব জেলায় গড় পাসের হার বেড়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকী।

এছাড়া ঐতিহ্যবাহী ঝালকাঠি এনএস কামিল (নেছারাবাদ) মাদ্রাসায় বিগত বছরের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এবারও বিজয় রয়েছে। আলিম পরীক্ষার ফলাফল মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে শীর্ষস্থান রয়েছে ঝালকাঠি এনএস কামিল মাদরাসা। এ মাদরাসায় পাসের হার ৯৯.২৩। এবছর এ মাদরাসা থেকে আলিম পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ২৫৯ জন। ২৫৭জন উত্তীর্ণদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১০২ জন। জিপিএ ৪ পেয়েছেন ১৪৫জন এবং বাকি সবাই বিভিন্ন গ্রেড উত্তীর্ণ হয়েছে।

পরীক্ষার ফলাফল সুষ্ঠুভাবে প্রকাশ করায় আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা গাজী মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঐক্য নীতির প্রবর্তক যুগশ্রেষ্ঠ দার্শনিক হযরত কায়েদ সাহেব হুজুর (রহ.) ১৯৫৬সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। সময়ের ব্যবধানে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার ছাত্রের পদচারণায় মুখরিত এ মাদ্রাসাটি অনার্স-মাস্টার্সসহ দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল ৯হাদিস, তাফছির, ফিকহ ও আদব) ফলাফল শীর্ষ স্থানে অর্জনকারী দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিগণিত হয়েছে। 

প্রতিষ্ঠানের এ সাফল্যের কারণ বর্ণনা করতে গিয়ে অধ্যক্ষ আরও বলেন, মুসলিম ঐক্যর প্রতীক আমীরুল মুছলিহীন হযরত মাওলানা মুহাম্মদ খলিলুর রহমান নেছারাবাদী হুজুরের বলিষ্ঠ পৃষ্ঠপোষকতা ও দলীয় রাজনীতিমুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হওয়ায় পড়ালেখায় কোন সমস্যা হয় না। পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া, ক্লাস টেস্ট, দুর্বল ছাত্রদের জন্য আলাদা ক্লাস, শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়ন, আবাসিক ছাত্রদের ঘণ্টাওয়ারি তদারকি, টিউটর শিক্ষকের থাকার ব্যবস্থা, সময়োপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ ও নিয়মিত অভিভাবক সম্মেলনের ব্যবস্থা করা হয়। 


সর্বশেষ সংবাদ