ছাত্রলীগকে কি মানুষ মারার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে?

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। সোমবার বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবস্থান নেন তারা। পরে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বুদ্ধিজীবী চত্বরে এক সমাবেশে মিলিত হয়।

মানববন্ধনে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের আহবায়ক কে এ এম সাকিব বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে প্রত্যেকের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আছে। আবরার ফেসবুকে তার মতটিই দিয়েছিলো। কিন্তু ছাত্রলীগের নেতারা তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলল। ‘তাদের কি মানুষ মারার লাইসেন্স দেয়া হয়েছে? প্রশ্ন রাখেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, শুধু আবরারকে হত্যা করা হয়নি, হত্যা করা হয়েছে জাতির বিবেককে। উপাচার্যের উচিত ছিলো ক্যাম্পাসে এসে তার হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করা। কিন্তু তিনি তা করেন নি। হল প্রাধ্যক্ষেরও উচিত ছিলো সিসিটিভি নিয়ন্ত্রণ রাখা। কিন্তু অদৃশ্য কোন কারণে সিসিটিভির ফুটেজ গায়েব হয়ে গেল।

মানববন্ধনে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী গোলাম মোর্শেদের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ হোসেন, আব্দুল্লাহ শুভ। কর্মসূচি থেকে আগামীকাল মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেন তারা।

এসময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় তাদের মুখে ‘আমার ভাই হত্যা কেন, প্রশাসন জবাই চাই, ভারতের দালালেরা হুশিয়ার সাবধান, দিয়েছি তো রক্ত আরো দেবো রক্ত, রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়, সন্ত্রাসীদের আস্তানা ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও, সন্ত্রাসীদের আস্তানা এই বাংলায় হবে না, শিক্ষা সন্ত্রাস একসাথে চলে না ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

এদিকে একই দাবিতে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থীরা। সোমবার বিকেল ৫ টায় বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় তাদের হাতেও বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা যায়। এতে ‘২০১১ নম্বর রুমে বাংলাদেশের মৃত্যু’, যাকেই মারো না কেন, মনে রেখো মানুষই মারছ’ আজকে বুয়েট কালকে রুয়েট, আর কত? ইত্যাদি লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে।

The Daily Campus এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন