ইবিতে বিভিন্ন ফি কমানোর দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন  © টিডিসি ফটো

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভর্তি ফি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন খাতে ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকাল ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মৃত্যুঞ্জয়ী’ এর পাদদেশে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এসময় তারা ‘অতিরিক্ত ভর্তি ফি কমাতে হবে’, ‘অতিরিক্ত ফরমের মূল্য বৃদ্ধি চলবে না’, ‘শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য বন্ধ করো,’ এমন বিভিন্ন প্রতিবাদ সম্বলিত ফেস্টুন প্রদর্শন ও স্লোগান দিতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, নামে বেনামে বিভিন্ন খাত তৈরি করে ফি বৃদ্ধি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ভর্তি পরীক্ষার ফরমের মূল্যসহ ভর্তি ফি বৃদ্ধি, হল ফি, সেমিস্টার ফি, পরিবহন ফি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন খাতের ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রতি বছর ভর্তির সময় ও সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার ফি দিতে মধ্যবিত্ত ও নিন্মবিত্ত শ্রেণির পরিবার থেকে আসা শিক্ষার্থীদের হিমশিম খেতে হয়। আমরা চাই অনতিবিলম্বে এসব খাতে বর্ধিত ফি কমানো হোক। যাতে দরিদ্র পরিবার থেকে আসা কোন শিক্ষার্থীকে আর্থিক কষ্টে পড়তে না হয়।

মানববন্ধনের এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ ও প্রক্টরের দায়িত্বে থাকা সহযোগী অধ্যাপক ড. নাছির উদ্দিন ঘটনাস্থলে যান। এরপর তারা শিক্ষার্থীদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার আশ্বাস দেন এবং ক্লাসে ফিরে যেতে বলেন।

কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাদের আশ্বাস উপেক্ষা করে আন্দোলন চালাতে থাকেন। পরে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। এরপর বেলা ১২টার দিকে আগামীকাল আবারো মানববন্ধন ও উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচী দিয়ে আজকের মত আন্দোলন স্থগিত করেন।

আন্দোলনকারী কয়েকজন শিক্ষার্থীদের জানান, আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন দীর্ঘদিনের। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে কোন গুরুত্বই দিচ্ছে না। এরই প্রেক্ষিতে আমরা দাবি আদায়ে এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, বিষয়টি একটি মীমাংসিত ইস্যু। এখানে সকল ফি অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় অনেক কম এবং সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে ভর্তি ফিসহ বিভিন্ন খাতে প্রায় তিনগুণ ফি বৃদ্ধি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর ক্যাম্পাসে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, অবস্থান ধর্মঘটসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের এই দাবি মেনে নেয়নি।


সর্বশেষ সংবাদ