ক্যাম্পাসে ভ্রাম্যমাণ পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করলেন ঢাকা কলেজ ছাত্রদল নেতা
- ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৪ AM , আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৫, ০৭:৩২ AM
ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের বই পড়ার প্রতি আগ্রহ ও পাঠাভ্যাস চর্চা বৃদ্ধির কথা চিন্তা করে ভ্রাম্যমাণ পাঠাগার স্থাপন করেছে ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের এক নেতা। মঙ্গলবার( ০৮ জুন) বেলা ১২ টায় ঢাকা কলেজ মুক্তমঞ্চ প্রাঙ্গণে উন্মুক্ত এ পাঠাগার তিনি প্রতিষ্ঠা করেন।
ঐ নেতার নাম দেওয়ান ফজলে হাসান নিয়ন। তিনি কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য ও সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক। তিনি ঢাকা কলেজ ২০১৯-২০ সেশনের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী।
ভ্রাম্যমাণ পাঠাগার প্রতিষ্ঠায় আরও সহযোগিতা করেন ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য মো. মনিরুল ইসলাম, শাহজাহান সৌরভ, এস.এম রবিন, আদনান মাহমুদ আারিফ, নাদিম খান, ফাহিম শাহরিয়ার সাদ, রাকিব রায়হান, নাফিজ আহম্মেদ, পারভেজ হোসেন, ইয়াসিন হাসান আদিব,কাজী রাসেল সহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
ব্যতিক্রমী এই ভ্রাম্যমাণ পাঠাগার থেকে ঢাকা কলেজ ও এর বাহিরের শিক্ষার্থী সহ সকল বয়সের মানুষ বই নিয়ে মুক্তমঞ্চে পড়তে পারবে। বাংলা সাহিত্য, জীবনীগ্রন্থ, ধর্মীয়, অনুবাদ ও ঐতিহাসিক বইয়ের সমাহারে পাঠাগারটি সাজানো হয়েছে। একাডেমিক বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বইয়ের প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্য থেকে এমন পাঠাগার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ বলে জানা যায়।
ভ্রাম্যমাণ পাঠাগার স্থাপনের বিষয়ে ঢাকা কলেজ ছাত্রদল নেতা দেওয়ান ফজলে হাসান নিয়ন বলেন, বাংলাদেশে দীর্ঘ ১৭ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনামলে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতির নামে সন্ত্রাসী ও নৈরাজ্যময় কার্যক্রম পরিচালনা করে। ফলে ছাত্ররাজনীতির সংস্কৃতির চরম ছন্দপতন হয়েছিলো। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক জনাব তারেক রহমানের বিশেষ নির্দেশনাই হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কল্যাণ এবং সেবা সাধনের জন্য বিভিন্ন শিক্ষাবান্ধব কর্মকাণ্ড পরিচালনার করা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সর্বদাই মেধা, মনন, সৃজনশীলতা ও প্রজ্ঞা প্রগতি নির্ভর রাজনীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা করে। এরই ধারাবাহিকতায় ও আমাদের সাংগঠনিক অভিভাবকের নির্দেশনার উপর ভিত্তি করে আজকে আমাদের এই শিক্ষার্থীবান্ধব উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে, দেশব্যাপী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এধরনের শিক্ষার্থীবান্ধব কার্যক্রমের ফলে অন্যান্য ছাত্রসংগঠনগুলো ক্যাম্পাসে ইতিবাচক কার্যক্রমে অনেকটা উৎসাহ এবং আগ্রহী হয়ে উঠবে। এর ফলে শিক্ষাঙ্গনে একটি সুস্থ প্রতিযোগিতার রাজনীতির পরিবেশ গড়ে উঠবে, যার সামগ্রিক ফল সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভোগ করতে পারবেন।