জবি ছাত্রী আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় কারাগারে প্রেমিক

 ইয়াছিন মজুমদার
ইয়াছিন মজুমদার  © সংগৃহীত

রাজধানীর লক্ষ্মীবাজারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সংগীত বিভাগের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় প্রেমিক ইয়াছিন মজুমদারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম মিজবাউর রহমানের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন। 

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) সূত্রাপুর থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক অনুপম দাস এ তথ্য জানিয়েছেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, বুধবার আসামি ইয়াছিন মজুমদারকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সূত্রাপুর থানার উপপরিদর্শক জাহিদুল হক তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রত্যাশা মজুমদার অথৈয়ের বাবা প্রনব মজুমদার (৫৯) বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মো, ইয়াছিন মজুমদার (২৩) নামের এক যুবক দীর্ঘদিন ধরে তাঁর মেয়েকে উত্ত্যক্ত করছিলেন। স্কুলজীবনে তাদের মধ্যে পরিচয় ছিল। আমার মেয়ে ঢাকা চলে আসলে বিবাদী আমার মেয়েকে অনুসরণ করে ঢাকায় আসে এবং লালবাগ থানা ধারা এলাকায় জমিদারি ভোজ নামক রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের চাকুরি নেয়। বিবাদী পূর্বের ন্যায় আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। পরবর্তীতে ইয়াছিন কৌশলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে অপমানজনক কথা, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকেন অথৈকে।
 
গত ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত উৎসবে অনুশীলন শেষে মেসে ফেরার পথে ইয়াসিন অথৈকে গালমন্দ করেন ও উৎসবে অংশ না নিতে চাপ দেন। পরে তার (অথৈ) রুমের দরজা ভেঙে তাকে অবস্থায় ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার। মেসের মালিকের স্ত্রী মোসা. জোৎস্না বেগম প্রথম ঘটনাটি লক্ষ্য করেন। এরপর ইয়াছিন মজুমদারসহ কয়েকজন তাঁকে উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।


সর্বশেষ সংবাদ