আন্দোলনের মুখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলে ফি কমানোর সিদ্ধান্ত
- জবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২৪ PM , আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২৪ PM

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রীদের একমাত্র ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীহল’-এর ফি কমানোসহ চার দাবিতে ভিসি ভবনের দোতলায় উপাচার্যের কক্ষের সামনে অবস্থান নিয়েছেন হলটি ছাত্রীরা। এর মধ্যে তাদের প্রথম দাবিটি মেনে নেওয়া হয়েছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে ভিসি ভবনের দোতলায় তাদের অবস্থানরত অবস্থায় দেখা যায়।
অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো হল ফি কমাতে হবে, হলের ক্যান্টিনে ভর্তুকি দিতে হবে, ওয়াই-ফাই সমস্যার সমাধান করতে হবে ও মেডিকেল সেন্টারের সুবিধা দিতে হবে।
এ সময় ভেতর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তাজাম্মুল হক বের হয়ে আসেন। পরবর্তী সময়ে তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের দাবি-দাওয়া সমাধানের জন্য কথা বলেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রক্টরের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য চলতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: কুবিতে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ কাল
এ বিষয়ে অবস্থানরত ইতিহাস বিভাগের ১৫তম আবর্তনের শিক্ষার্থী লিজা আক্তার বলেন, ‘জবির একমাত্র ছাত্রী হলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দাবিতে আমরা আজ ভিসি ভবনে অবস্থান করেছি। হলের সিট ৬০০ জনের জন্য থাকলেও আমাদের সেখানে ১২০০ জন উঠানো হয়েছে, কিন্তু হল ফি না কমিয়েই প্রতি সিটের দুজনই ৩ হাজার ৪০০ টাকা করে দিচ্ছি আমরা, যেটা দুজন উঠানোর কারণে হাফ হওয়ার কথা ছিল। অনেক যুক্তিতর্ক এবং আন্দোলনের পরে আমরা আমাদের প্রথম দাবি আদায় করে নিতে সক্ষম হয়েছি। হল ফি ৩ হাজার ৪০০ থেকে ২০০০ করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে আরও কথা বলতে চাইলে অবস্থানরত ইতিহাস বিভাগের ১৬তম আবর্তনের শিক্ষার্থী রোকসানা আক্তার তৃষ্ণা বলেন, ‘প্রথমত এটা আমাদের হল ফি কমানোর জন্য আন্দোলন। হল ফি ৩ হাজার ৪০০ টাকা যেটা হল হিসেবে অনেক বেশি। আমরা এক সিটে দুজন থাকি। এক রুমে আটজন গাদাগাদি করে থাকি। যখন বেডের দুজনেরই পরীক্ষা চলে, তখন টেবিলে ঠিকমতো পড়তে বসা যায় না। এরপর ওয়াই-ফাই নিয়ে এত আন্দোলনের পরে এখনো ওয়াই-ফাই ঠিক করা হয়নি। আমাদের কোন মেডিকেল ফেসিলিটিস নেই। হলের ডাইনিং নেই। হলে গ্যাস থাকে না।’