আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
- ইবি কন্ট্রিবিউটর
- প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৮:১৬ AM , আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৮:১৬ AM

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (২১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে বাদ ফজর থেকে অবস্থান নেন তারা।
শিক্ষার্থীরা জানান, হাসনাত আবদুল্লাহর রহস্যজনক ফেসবুক স্ট্যাটাস ভাইরাল হওয়ার পর সারা দেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা না করার ব্যাপারে ষড়যন্ত্র আঁচ করতে পেরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার আহ্বানে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা। দাবি আদায় না হলে তারা পরবর্তীতে এ দাবিতে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলেও জানানো হয়।
কর্মসূচি পালন করা শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান বলেন, ‘গত ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে এ দেশের সাধারণ নাগরিকের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছিল। এর পরপরই জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলনে অসখ্য ছাত্র জনতাকে হত্যা করার মাধ্যমে আবারও ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছিল। আমরা দেখতে পাই আওয়ামী লীগের প্রায় ২০০ অপরাধী ক্যান্টনমেন্টের সহায়তায় বিদেশে পালিয়ে যায়। কিন্তু আমরা হাসনাত আবদুল্লাহর পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি ক্যান্টনমেন্টে আওয়ামী পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্রের আভাস। আমরা এ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের জোর দাবি জানাচ্ছি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার যে গণহত্যা চালিয়েছিল তার প্রেক্ষিতে আমরা আশা করেছিলাম যে আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনা সহ তাদের কার্যক্রমকে নিষিদ্ধ করা হবে। কিন্তু তা তো করা হয়নি উল্টো আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারি যে সেনাবাহিনীর একটি পক্ষ এবং দেশের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আমরা মনে করি গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত কোনো দল কোনোভাবেই তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে না। পুরো বাংলাদেশে আইন করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের কাছে সবচেয়ে আশ্চর্য লেগেছে যে একটি দল গণহত্যা চালানোর পরও কোনো তাদের মধ্যে অনুশোচনা নেই। উল্টো সারা বাংলাদেশে তাদের যে সমর্থক গোষ্ঠী আছে তারা বিভিন্ন সময় দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চলেছে। পতিত শেখ হাসিনার পাশাপাশি ভারত সহ বিভিন্ন দেশি-বিদেশি চক্র দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে লেগে আছে। এর সবচেয়ে উপযুক্ত সমাধান হচ্ছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা এবং এর মাধ্যমেই জুলাই অভ্যুত্থানের জন আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে। এটি যেন আগামী দিনে একটি নজির হয়ে থাকে সেজন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে বাদ ফজর আমরা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি এবং চালিয়ে যাবো।’