বেরোবির ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ
- বেরোবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪২ AM , আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৬ AM

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরসহ প্রশাসনিক ভবনের বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগের ১১ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর অফিস ফাঁকি দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ওই ১১ জনের কাছে কারন দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশে বলা হয়, এরূপ কর্মকাণ্ডের কারণে আপনাদের বিরুদ্ধে কেন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা পত্রপ্রাপ্তির সাত কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানানোর কথা বলা হয়।
১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী হলেন, উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উম্মে ফারহানা চৌধুরী; উপ-রেজিস্ট্রার এটিএম শহীদুল ইসলাম; সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) সাকিনা আক্তার সীমা; সিনিয়র অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর সুফিয়া খাতুন; সিনিয়র অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর সুমি বেগম; হিসাব রক্ষক মো. নুর হোসেন শাহ; অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. মামুনুর রশীদ; সি-ক্যাটাগরি এমএলএসএস স্বপ্না দাস; সি-ক্যাটাগরি এমএলএসএস মো. ফারুক আহমেদ; এমএলএসএস এস এম শহীদুল ইসলাম; এমএলএসএস মো. জাহাঙ্গীর আলম।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী ২ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন দপ্তর ও অফিস পরিদর্শনকালে এসব কর্মকতা ও কর্মচারীকে অনুপস্থিত দেখতে পান, যা প্রতিষ্ঠানের নিয়মশৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং অনাকাঙ্ক্ষিত। সময়মতো অফিসে উপস্থিত না থাকায় ওই ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হারুন অর রশীদ বলেন, উপাচার্য মহোদয় বিভিন্ন দপ্তর পরিদর্শনে গিয়ে ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুপস্থিত পেয়েছেন। তারা দেরিতে এসেছেন। এ জন্য তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জবাব দেওয়ার সুযোগ পাবেন। তাদের জবাব পেলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী বলেন, আমি উপাচার্য হয়ে যদি ৯টার আগে অফিসে এসে ১১টায় যেতে পারি, তাহলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পারেন না কেন? আমি সাড়ে ৯টায় গিয়েও তাদের অফিসে পাইনি। এ জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।