বঙ্গবন্ধু এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়’ আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর মধ্য দিয়ে দেশের এভিয়েশন খাতের মানোন্নয়নে রাজধানীর আশকোনায় প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশেষায়িত এই বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাপূর্ব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। সোমবার বর্তমান সরকারের নিয়মতি মন্ত্রিসভার শেষ বৈঠকে এই আইনের অনুমোদন দেয়া হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়টি এভিয়েশন ও অ্যারোস্পেস–সংক্রান্ত বিষয়ে উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। বিদ্যমান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো এই বিশ্ববিদ্যালয়েরও আচার্য হবেন রাষ্ট্রপতি। আর উপাচার্য হবেন কর্মরত এয়ার ভাইস মার্শাল, অথবা তাঁর ঊর্ধ্ব পদের কর্মকর্তা অথবা অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল অথবা তাঁর ঊর্ধ্ব পদের কোনো কর্মকর্তা।  উপাচার্যের মেয়াদ হবে চার বছর। 

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশেই রাজধানীর আশকোনায় হচ্ছে দেশের প্রথম এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়। এজন্য এরই মধ্যে বেবিচকের আওতাধীন ১২ একর জমি নির্বাচন করা হয়েছে।  সম্পূর্ণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে চলবে বিশেষায়িত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম। নতুন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে লন্ডনের মিডলসেক্স ইউনিভার্সিটি, বার্নেল ইউনিভার্সিটি ও সিটি ইউনিভার্সিটির সঙ্গে এডুকেশন এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম থাকবে। 

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা গেলে তা এ খাতে দক্ষ জনশক্তি জোগানে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি এর মাধ্যমে বিদেশী শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনও সম্ভব।  কারণ সারা বিশ্বেই এভিয়েশন খাতে দক্ষ জনবলের চাহিদা বাড়ছে। ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) তথ্যানুযায়ী, বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর আকাশ পরিবহনে ২৩ হাজার পাইলট ও উড়োজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণে ৩০ হাজার জনবল প্রয়োজন হয়। আগামী ২০ বছরে এভিয়েশন খাতে ১৭ হাজার নতুন দ্রুতগামী বাণিজ্যিক উড়োজাহাজসহ মোট ২৫ হাজার নতুন উড়োজাহাজের প্রয়োজন হবে।  ফলে এ খাতে আরো ৪ লাখ ৮০ হাজার টেকনিশিয়ান ও সাড়ে তিন লাখ পাইলটের প্রয়োজন হবে।

এর আগে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন জানিয়েছিলেন, এভিয়েশন ক্ষেত্রে উচ্চমানের শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে সামরিক এবং বেসামরিক মানবসম্পদ উন্নয়নসহ জ্ঞানভিত্তিক কারিগরি ও অর্থনৈতিক সমাজ গঠনই হচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য। ২০২৫ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এশিয়ার একটি নেতৃস্থানীয় ইউনিভার্সিটি হিসেবে বঙ্গবন্ধু এভিয়েশন ও অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটিকে গড়ে তোলা হবে বলেও জানান তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence