মুঘল রাজকুমারী জেবুন্নেসা থেকে তারেক রহমানের বিড়ালের নামকরণ ‘জেবু’

মুঘল রাজকুমারী জেবুন্নেসা ও তারেক রহমানের বিড়াল ‘জেবু’
মুঘল রাজকুমারী জেবুন্নেসা ও তারেক রহমানের বিড়াল ‘জেবু’  © সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দেশে ফিরেছে তার পোষা বিড়াল ‘জেবু’। তিনি ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে ঢাকায় এসেছে বিড়ালটিও। এদিকে তাদের দেশে ফেরার কয়েক ঘণ্টা আগে গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘জেবু’। ‘জেবু-দ্য ক্যাট’ নামে চালু করা হয়েছে ফেসবুকের পেজটি, যা ইতোমধ্যেই অনলাইনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

আজ রাতে ওই পেজ থেকে ‘জেবু’র নামকরণ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, মুঘল রাজকুমারী জেবুন্নেসা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে জেবু নামটি রাখা হয়েছে। মুঘল রাজকুমারী জেবুন্নেসাকে সম্মান জানাতে বেছে নেওয়া হয়েছে। সেই যুগের অন্যতম শিক্ষিত মহিলা, কবি, পণ্ডিত এবং সৌন্দর্য ও বুদ্ধিমত্তার প্রতীক হিসেবে যার উত্তরাধিকার এখনও অনুপ্রাণিত করে।

সাইবেরিয়ান জাতের লোমশ এই বিড়ালটি মূলত তারেক রহমানের কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের পোষা। ‘জেবু’ নামটিও তিনি নামকরণ করেছেন বলে ফেসবুকের স্ট্যাটাসে লেখা হয়।

চলতি বছরের শুরুতে তারেক রহমানের মোবাইল ফোনের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা জেবুর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে প্রথমবারের মতো আলোচনায় আসে বিড়ালটি। এরপর একাধিক ছবি ছড়িয়ে পড়লে বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম ও বিড়ালপ্রেমীদের মধ্যে জেবুকে ঘিরে ব্যাপক আগ্রহ ও কৌতূহল তৈরি হয়।

জেবুর এই অপ্রত্যাশিত জনপ্রিয়তা নিয়ে বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান বলেন, ‘বিড়ালটি আমার মেয়ের। কিন্তু এখন এটি সবার বিড়াল হয়ে গেছে। আমরা সবাই এটিকে খুব ভালোবাসি।’

আজ রাতে জেবু-দ্য ক্যাট’ নামে চালু হওয়া পেজে বিড়ালটির পরিচয় নিয়ে ‘জেবু: কবিতা, জ্ঞান এবং মুঘল ইতিহাসে প্রোথিত একটি নাম’ শীর্ষক স্ট্যাটাসে লেখা হয়, আমি জেবু — এবং হ্যাঁ, আমার নাম আমার থেকে অনেক পুরনো একটি গল্প বহন করে। আমার নামকরণ করা হয়েছিল জেবুন্নেসার  নামে, যিনি তার বুদ্ধি, কবিতা এবং আধ্যাত্মিক গভীরতার জন্য বিখ্যাত অসাধারণ মুঘল রাজকন্যা। ১৬৩৮ সালে জন্মগ্রহণকারী, তিনি ছিলেন সম্রাট আওরঙ্গজেবের কন্যা এবং তার সময়ের সবচেয়ে শিক্ষিত মহিলাদের একজন, একজন পণ্ডিত, ক্যালিগ্রাফার এবং কবি যিনি "মাখফি" ছদ্মনামে লিখেছিলেন, যার অর্থ লুকানো।

স্ট্যাটাসে আরও লেখা হয়, আমার নামটি তার উত্তরাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি — সৌন্দর্য, বুদ্ধিমত্তা এবং শান্ত শক্তির প্রতীক। জেবুন্নেসার কবিতায় যেমন করুণা এবং প্রতিফলন মূর্ত হয়েছে, তেমনি আমার নামটি আমাদের অতীতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মধ্যে প্রোথিত একটি কোমল অনুগ্রহ বহন করে।

‘জাইমা রহমানকে আমার নামকরণের জন্য ধন্যবাদ। একটি সাধারণ বিড়ালের জন্য একটি সাধারণ নাম, তবুও এটি শতাব্দীর শিল্প, সংস্কৃতি এবং কালজয়ী ইতিহাসের প্রতিধ্বনি।’

স্ট্যটাসের শেষে হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেখা হয় ‘#জেবুদ্যক্যাট’।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!