বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে ইউজিসি-মন্ত্রণালয়ের অবস্থান কী?

পেনশন স্কিম প্রত্যাহার

পেনশন স্কিম নিয়ে আন্দোলন
পেনশন স্কিম নিয়ে আন্দোলন  © টিডিসি ফটো

দেশের সকল মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গত বছরের ১৭ আগস্ট সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুরুতে প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা নামে চারটি স্কিম দিয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিম যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ‘প্রত্যয়’ স্কিম চালু করা হয়েছে, যা আগামী ১ জুলাই থেকে এসব প্রতিষ্ঠানে যোগ দেওয়া কর্মচারীদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে কার্যকর হবে। এ তালিকায় রয়েছেন দেশের অর্ধশতাধিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষকও।

জানা যায়, চলতি বছরের মার্চে সর্বজনীন পেনশনে নতুন এই ‘প্রত্যয় স্কিম’ যুক্ত করে অর্থ মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপনে প্রত্যয় স্কিমের রূপরেখা ঘোষণা করা হয়। ২০ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নতুন এ স্কিমের বিষয়ে বিস্তারিত জানায়। আর বিষয়টি দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে মন্ত্রণালয়টির অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান ‘জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ’। এরপর থেকেই মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নড়েচড়ে বসেন। তারা কোনোভাবেই এ পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হতে চান না। তাই পেনশন স্কিমের আওতার বাইরে থাকতে গত দু’মাস ধরে বিবৃতি, সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধনের পরও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের উদ্যোগ না নেওয়ায় চলতি মাসের শুরুতে মাঠে নেমেছেন তারা। শুরুতে চলতি মাসে তারা চারদিন অর্ধদিবস ও একদিন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবে। তবে এসব কর্মসূচিতে শিক্ষকরা পাঠদান থেকে বিরত থাকলেও শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু মঙ্গলবার

এরপরও দাবি আদায় না হলে আগামী ১ জুলাই থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হবে বলে জানায় আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া সংগঠনটি ‘বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন’। এসময় সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা গ্রহণ থেকে শিক্ষকরা বিরত থাকবেন বলে জানিয়েছে। শুরুতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা সুপার গ্রেড এবং পেনশনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রত্যাহারের দাবি জানালেও এবার তাদের দাবির সাথে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে—দেশের সকল শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর দাবিও।

সর্বাত্মক এই কর্মবিরতির ফলে দেশের অর্ধশত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক একাডেমিক কার্যক্রম বিঘ্ন হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ কর্মসূচি টানা অব্যাহত থাকলে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় তিন লাখ শিক্ষার্থী সেশনজটে পড়ার শঙ্কায় রয়েছেন। এদিকে, শিক্ষকদের চলমান এ কর্মসূচি নিয়ে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর তদারক সংস্থা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) পক্ষে থাকলেও নিরব ভূমিকায় রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে শিক্ষকদের দাবির প্রতি শিক্ষামন্ত্রীর সমর্থন রয়েছে জানিয়েছেন ফেডারেশনের একাধিক নেতা।

ফেডারেশনের নেতারা জানিয়েছে, মেধাবীরা একসময় শিক্ষকতা পেশায় আসতো। প্রস্তাবিত প্রত্যয় স্কিম বাস্তবায়ন হলে তারা শিক্ষকতার মত মহান পেশায় আসতে আগ্রহ হারাবেন। তখন তারা হয়তো অন্য পেশায় আকৃষ্ট হবেন নতুবা বিদেশে চলে যাবেন। কাজেই ফেডারেশনের চলমান আন্দোলন আগামী দিনের তরুণ সমাজের স্বার্থরক্ষা তথা উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের চক্রান্তের বিরুদ্ধে। 

তারা আরও জানান, এ বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি এবং বৈঠকও করেছেন নেতারা। তবে তারা মনে করছেন, বিষয়টি সরকারে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে বড় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে রাখা হয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রতিনিধি। তাছাড়া শিক্ষকদেরও পক্ষ থেকে ছিলেন না কোনো প্রতিনিধি।

আরও পড়ুন: দাবি আদায়ে অনড় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা, যা জানাল পেনশন কর্তৃপক্ষ

বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকদের পাশে রয়েছে ইউজিসি। কমিশনের সদস্য ড. হাসিনা খান সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে ইউজিসির এ অবস্থানের কথা জানান। তিনি জানান, সর্বজনীন পেনশন প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি আদায়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন শিক্ষকদের পাশে থাকবে।

বিষয়টি নিয়ে সোমবার (২৪ জুন) ইউজিসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকদের দাবির প্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়কে জানিয়েছি। গতকাল কমিশনের সভায় কমিশনের পক্ষ থেকে তাঁকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ইউজিসি শিক্ষকদের দাবির পক্ষে রয়েছে।

একই বিষয়ে কথা হয় দেশের উচ্চশিক্ষায়গুলোর উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের (এইউবি) সভাপতি ও ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমানের সঙ্গে। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস জানিয়েছেন, এটি একটি যৌক্তিক দাবি। সে দাবির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ শিক্ষকদের সাথে রয়েছে। তবে আন্দোলন এবং অন্যান্য বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তো সরাসরি কিছু করার সুযোগ নেই। এটি জনগুরুত্বপূর্ণ দাবি হিসেবে শিক্ষকরা তাদের আন্দোলনকে আরও বেশি জনসম্পৃক্ত করার সুযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুন: ১ জুলাই থেকে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা

জানা গেছে, সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। তাতে শিক্ষামন্ত্রীর নীতিগত আশ্বাস এবং শিক্ষকদের দাবির প্রতি মন্ত্রীর সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফেডারেশনের এক শীর্ষ নেতা।

শিক্ষকদের ওই বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী তখন জানিয়েছেন, যেহেতু প্রজ্ঞাপনটি অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা হয়েছে। সেজন্য তার মন্ত্রণালয়ের খুব বেশি কিছু করার নেই। এটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সমাধান হতে পারে বলেও অভিমত ছিল শিক্ষামন্ত্রীর।

বিষয়টি নিয়ে জানতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্তা ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করেও তাদের কোনো মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

তবে সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা সম্প্রতি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শিক্ষকদের দাবি অফিসিয়ালি এখনো আসেনি। আসলে আমরাও মতামত দিব সরকারকে। আর অফিসিয়ালি আসলে সরকার অবশ্যই একটা সিদ্ধান্ত দিবে। পেনশন কর্তৃপক্ষ এখানে কিছু না। আমরা সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করি। সরকার যে সিদ্ধান্ত নেয় আমরা শুধু সে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করি।

শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবির বিষয়ে জানানো হলে তিনি বলেন, প্রত্যয় স্কিমের এনরোলমেন্ট এখনো শুরু হয়নি। সরকারকে জানালে সরকারি সিদ্ধান্তে এটা যে কোনো সময় নতুন সিদ্ধান্ত আসলে এটা যুক্ত হবে। আমরা সরকারের কাজ করি। শিক্ষকরাও সরকারের সাথে কাজ করে। আমরা কেউই সরকারের বাহিরের না।

শিক্ষকদের দাবি, নতুন এই স্কিম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করবে। এরই অংশ হিসেবে গত ৪ জুন সকাল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে দুপর ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকরা অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন তারা। এদিকে,  একইদিন দুপুরে কর্মসূচি শেষে ফেডারেশনের নেতারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারকে সময় বেঁধে দিয়ে আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন।

তাদের আল্টিমেটাম অনুযায়ী, ২৪ জুনের (আজ সোমবার) মধ্যে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহার এবং পূর্বের পেনশন স্কিম চালু রাখা; সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তন কার্যকর করা না হলে তারা কর্মবিরতিতে যাবেন বলে জানিয়েছিলেন।

সে ঘোষণা অনুযায়ী, ২৫, ২৬ ও ২৭ জুন অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা। এছাড়াও আগামী ২৮ ও ২৯ জুন শুক্রবার ও শনিবার ছুটি থাকায় পরদিন ৩০ জুন শিক্ষকরা ৮টা ৩০ মিনিট থেকে ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন। তবে, পরীক্ষাসমূহ কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে।

এরপরও দাবি আদায় না হলে আগামী ১ জুলাই থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হবে বলে জানিয়েছিলেন সংগঠনটির নেতারা। এসব ক্লাস বর্জনের পাশাপাশি সব ধরনের পরীক্ষা গ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন তারা।

আরও পড়ুন: ঢাবিতে ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা শিক্ষকদের

জানতে চাইলে আজ সোমবার (২৪ জুন) বিকেলে ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমাদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলাপ-আলোচনা না করে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে শিক্ষক সমাজ। পরে বিষয়টি নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের যে দাবি ছিল সে ব্যাপারে কোনো ইতিবাচক সাড়া না আসায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি বহাল থাকবে। এসময় শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া থেকে বিরত থাকলেও পরীক্ষাসমূহ কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে বলে তিনি জানান।

সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সাধারণ মানুষদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনা হয়েছে, তার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মেলানোর দরকার নেই বলে মনে করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি এবং চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা ফেডারেশন থেকে এটি প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়ে যাচ্ছি। দাবি না মানা হলে আমাদের সংগঠনের সকলের মতামতের ভিত্তিতে আরও বৃহৎ কর্মসূচি আসতে পারে। আমরা ক্লাস বর্জনের কর্মসূচি পালন করবো; প্রয়োজনে পরীক্ষা গ্রহণও বন্ধ করা হবে।

দেশের অন্যান্য সরকারি চাকরিজীবীদের বাদ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের এভাবে এককভাবে পেনশনে অন্তর্ভুক্ত করার ফলে বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। এটি বন্ধ করে আমাদের সুপার গ্রেডে স্বতন্ত্র কাঠামোতে সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হোক। এছাড়াও এটি মেধাবীদের শিক্ষকতায় অনুৎসাহিত করার পাশাপাশি মেধার অপচয় করবে। আমরা চলমান দাবির পাশাপাশি দেশের সকল শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো চাই—যুক্ত করেন অধ্যাপক আবদুল হক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের যুগ্ম মহাসচিব ড. মো. আবদুর রহিম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমাদের আন্দোলন সরকারের বিরুদ্ধে নয়, আগামী জাতির কারিগর শিক্ষকরা যেন বৈষম্যের শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে। প্রস্তাবিত প্রত্যয় স্কিম বাস্তবায়ন হলে তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় আসতে আগ্রহ হারাবেন। তখন তারা হয়তো অন্য পেশায় আকৃষ্ট হবেন নতুবা বিদেশে চলে যাবেন। আমরা মেধাবীদের শিক্ষকতায় রাখতে চাই। কাজেই এ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।


সর্বশেষ সংবাদ