ববি শিক্ষার্থী শিফার আত্মহননের কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিটি
- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৪, ০৭:৫০ PM , আপডেট: ১৩ জুন ২০২৪, ০৭:৫৩ PM
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শিফা নূর ইবাদির আত্মহননের কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় হলটির প্রভোস্ট ড. হেনা রাণি বিশ্বাসকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির অন্য দুইজন সদস্য হলেন- হলটির আবাসিক শিক্ষক সুমনা রাণী সাহা ও হোসনেয়ারা ডালিয়া।
তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে ড. হেনা রাণি বিশ্বাস দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শিফার আত্মহননের কারণ উদঘাটনের জন্যই আমি নিজে আহ্বায়ক হয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। আমার এই শিক্ষার্থী শিফা কেন আত্মহননের পথ বেছে নিলো সেটিই আমরা বের করে আনার চেষ্টা করব।হলের কারো কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখবো।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যম ও আবাসিক শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে জেনেছি দর্শন বিভাগের আব্দুল্লাহ আল নোমান নামের একটি ছেলের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং সাম্প্রতিক তাদের প্রেমে জটিলতা চলছিলো। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় অনেকের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তদন্তে আমরা সব বিষয় নিয়েই খতিয়ে দেখব। ২৫ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
গত ১০ জুন শিফা নূর ইবাদির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের রিডিংরুমের করিডোর থেকে। এর পর শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমানের সাথে তাঁর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বেশকিছুদিন যাবৎ তাদের প্রেমের সম্পর্কে জটিলতা চলছিল। আত্মহননের দিনে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় ঝগড়া ও হাতাহাতি করতে দেখা যায়। সর্বশেষ রাত সাড়ে নয়টার দিকে নোমান ও শিফাকে বঙ্গমাতা হলের রাস্তায় একসাথে দেখে শিফার এক বান্ধবী। তখন শিফাকে কান্নারত অবস্থায় হলে ফিরতে দেখে তাঁর বান্ধবী। এর পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে আত্মহননের ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আবদুল কাইয়ুম বলেন, এখন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, কেন এমন আত্মহত্যা ঘটছে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর তদন্ত কমিটি গঠন করে কারণ উদঘাটনের চেষ্টা করব। এর বাহিরে হল প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। রিপোর্ট জমা দিলে আমরা সবকিছু জানতে পারবো এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবো।