ইবির বাস চালককে মারধর, টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:৩৯ PM , আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:৩৯ PM
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নিজস্ব বাসচালক মোমিন শেখকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ক্যাম্পাসের ভাড়া বাস সুরাইল পরিবহনের চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা গ্রামের লোক ডেকে ৩০ জন মিলে তাদের ওপর এ হামলা চালায় বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। ভুক্তভোগী অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।
শনিবার (১১ নভেম্বর) সকালে ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী বৃত্তিপাড়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগী চালক মোমিন শেখ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন অফিসে লিখিত অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আজ সকালে ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়া যাওয়ার পথে বৃত্তিপাড়া নামক স্থানে জ্যামে আটকা পড়লে দেখতে পাই যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়া করা গাড়ি বাইরের যাত্রী উঠানোর জন্য রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে জ্যামের সৃষ্টি করেছে। আমি গাড়ি থেকে নেমে সামনে থেকে সুরাইল পরিবহনের চালককে দ্রুত রাস্তা ছেড়ে দিতে বললে হঠাৎ করেই চালক ও হেলপার আমার ওপর চড়াও হয় এবং একপর্যায়ে আমাকে ব্যাপক মারধর করে।
পরে চালক সালাহউদ্দিন ভাই আমাকে বাঁচাতে এলে তাকেও ব্যাপক মারধর করে এবং আমার চালিত গাড়ির লুকিং গ্লাস ভেঙে ফেলে। এ সময় আমার একটি স্মার্টফোন ভেঙে যায়, দুজনের শার্ট ছিঁড়ে যায়। হামলাকারীরা সালাহউদ্দিনের পকেটে থাকা দশ হাজার সাতশত টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং রড, লাঠিসোঁটাসহ আরও লোক ডেকে এনে আমাদের মারধর করে।
লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, সুরাইল পরিবহনের চালক জসিম, হেলপার লালন, গঞ্জরুবি গ্রামের জুয়েল এবং রবিউলসহ প্রায় ৩০ জন মিলে তাদের ওপর এ হামলা চালায়। তিনি অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।
আরও পড়ুন: কখনও মানবাধিকার কর্মী, কখনও সাংবাদিক— আসলেই প্রতারক ইবি ছাত্র মুরাদ
অভিযুক্ত সুরাইল পরিবহনের চালক জসিম বলেন, আমি ঘটনার সময় বাস থেকে নামিইনি। এমনিতেই প্রতিটি বাজারে ভ্যান, সিএনজি পরিবহনের জন্য জ্যাম থাকে। তো ওই সময় জ্যাম সৃষ্টি হলে সরকারি বাসের ড্রাইভার এসে আমাদের হেলপারকে বকাবকি করেন ও মারতে উদ্যত হন। এ সময় আমি বাস সামনে এগিয়ে সাইড দিই তাদের। হেলপারের বাড়ি ওই এলাকায় হওয়ায় মুহূর্তের মধ্যে অনেক লোকের সমাগম হয় এবং মারামারির সৃষ্টি হয়। এতে আমার বাসের হেলপার প্রচণ্ড মারধরের শিকার হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। জানতে পেরেছি তারা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ যেহেতু পেয়েছি আমরা পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, এটা আমরা সকালের দিকে জেনেছি। পরে ভুক্তভোগী পরিবহন অফিসে অভিযোগ করলে আমাদের কাছে সেটার একটি অনুলিপি আসে। পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সেটা রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠিয়ে দিয়েছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, আমার কাছে একটি কপি এসেছিল। আমি ফাইলটি উপ-উপাচার্য বরাবর পাঠিয়েছি। আশা করি কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।