জবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে তীব্র আসন সংকট, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা
- জবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৩, ০১:০১ PM , আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৩, ০৩:০৯ PM
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সুযোগ সুবিধা নেই জবির লাইব্রেরিতে। ১৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিপরীতে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির আসন সংখ্যা মাত্র ৩৫০ টি। যার ফলে একপ্রকার গাদাগাদি করেই কেদ্রীয় লাইব্রেরিতে বসতে হয় শিক্ষার্থীদের। আসন সংকট ছাড়াও নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি। পড়াশোনার জন্য যে ধরনের পরিবেশ দরকার তাও পর্যাপ্ত নেই লাইব্রেরিতে।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে শিক্ষার্থীদের জন্য ৩৫০টি আসন। তবে লাইব্রেরিটি প্রতিষ্ঠালগ্নে আসন সংখ্যা আরও বেশি ছিল। ২০১৬ সালে লাইব্রেরির জায়গায় কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সেমিনার ও ল্যাবের জন্য ছেড়ে দিলে লাইব্রেরির আসন সংখ্যা কমে যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে নেই পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা, বসার জায়গা এতোটাই কাছাকাছি যে প্রতি আসনে বসে পড়াশোনা করা কষ্টসাধ্য। তাছাড়া অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাও নাজেহাল। পুরো লাইব্রেরিতে চোখে পড়ে মাত্র দুইটি অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার যার একটিতেও নেই উৎপাদন বা মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি সংলগ্ন কম্পিউটার সাইন্স ডিপার্টমেন্টে আগুন লাগলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে লাইব্রেরিতে। লাইব্রেরিতে প্রবেশের জন্য আছে একটিমাত্র সরু দরজা যা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে বা আগুন লাগলে বের হওয়া একেবারে অসম্ভব। নেই কোন ইমার্জেন্সি এক্সিট।
লাইব্রেরিতে পড়তে যাওয়া স্নাতকোত্তরের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তোহা ইসলাম বলেন, নিয়মিত লাইব্রেরিতে আসা হয় কিন্তু গরম আসলেই বিপাকে পড়তে হয়। লাইব্রেরিতে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করতে না পারায় গরমে সিদ্ধ হওয়ার অবস্থা। এতে পড়াশোনা করা যায়না। এছাড়াও গাদাগাদি করে বসতে হয় যা অনেক অসুবিধা হয় আমাদের। আশা করি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন অতি শীঘ্রই একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আরেক শিক্ষার্থী আবু রায়হান জানান, আমাদের লাইব্রেরিতে শিক্ষার্থীদের তুলনায় আসন সংখ্যা কম। তার উপর লাইব্রেরির ভিতর নেই পর্যাপ্ত আলো বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা। এসির ব্যবস্থা নেই আবার সিলিং ফ্যানের সংখ্যাও কম। এই তীব্র গরমে পড়তে যেয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে যায়। তাছাড়া শুক্র ও শনিবার লাইব্রেরি অফ থাকে এই দুইদিন খোলা রাখার ব্যবস্থা থাকলে আমাদের জন্য ভালো হতো। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সমস্যাগুলো বিবেচনা করলে আমরা যারা লাইব্রেরিতে পড়তে আসি তাদের অনেক উপকার হবে।
কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সমস্যার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক মো. এনামুল হক জানান,আমাদের মূলত জায়গা সংকট বিশ্ববিদ্যালয়ের সব জায়গায়। সেন্ট্রাল লাইব্রেরীতে আসন সংখ্যা শিক্ষার্থী অনুপাতে কম, নতুন ক্যাম্পাসের কাজ শেষ হলে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে। এছাড়া আসন সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। তাছাড়া আমরা সেন্ট্রাল লাইব্রেরী পুরোটা এসি করার কথাও বলেছিলাম সেটাও কবে নাগাদ বাস্তবায়ন হবে তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই।