ঈদের ছুটিতে ইবির হলে চুরি

ইবির জিয়া হলে কাটা গ্রিল
ইবির জিয়া হলে কাটা গ্রিল  © সংগৃহীত

ঈদুল আযহা'র ছুটিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হলে বেলকনি'র গ্রীল কেটে চুরির ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (৭ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে ওই হলের ১১৭ নং কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম কক্ষে প্রবেশের পর এই অভিযোগ করেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, বেলকনি'র গ্রীল কেটে তার কক্ষে থাকা ডেস্কটপ কম্পিউটার চুরি হয়েছে এবং তার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী রুমমেটের ম্যাগনিফাইনিং ডিভাইসটি ভাঙা অবস্থায় পেয়েছেন।

তিনি জানান, ক্যাম্পাসে এসে বিকেল ৫টার দিকে কক্ষে প্রবেশের জন্য তালা খুলেন। তালা খুলে দরজা ধাক্কাধাক্কি করলেও তিনি দেখেন, দরজার ছিটকিনি ভিতর থেকে আটকানো। পরে অনেক চেষ্টায় দরজা খুলতে ব্যর্থ হলে তিনি ওই হলের দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যের সহায়তায় হলের পিছন দিকে গিয়ে বেলকনি'র দুইটি গ্রীল কাটা দেখতে পান। একইসঙ্গে ওই কক্ষের পিছনের দিকের দরজা খোলা পান তারা। এছাড়া পিছন দিকের জানালার ভাঙ্গা অংশ দিয়ে দরজা খোলা হতে পারে ধারণা ভূক্তভোগী ও আনসার সদস্যের।

ওই শিক্ষার্থী বলেন, বাড়ি যাওয়ার সময় আমরা ভালোভাবেই দরজা জানালা আটকিয়েছিলাম। কিন্তু পিছনের জানালার একটা কাঁচ ভাঙ্গা ছিল। গ্রিল কেটে ওই জায়গা দিয়ে পিছনের দরজা খোলা যায়। আমার ৪০ হাজার টাকা দামের কম্পিউটার চুরি হয়েছে। বাকি দুই রুমমেট এলে কী কী ক্ষতি হয়েছে বিস্তারিত জানা যাবে। এই অবস্থা দেখে আমি প্রভোস্ট স্যারকে বিষয়টি জানালে তারাও ঘটনাস্থলে এসে দেখেছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুস সালাম সেলিম বলেন, চুরির বিষয়টি বিকেলে জানতে পেরেছি। ছুটির দিনই প্রভোস্টকে বলেছিলাম আপনার হলের পিছনে তিনটা রুমে সিটকিনি লাগানো নেই। গ্রিলগুলোও দূর্বল। তাছাড়া ওই হলটির পিছন সাইডে লোক যাওয়ার মত কোনো পরিবেশ নেই। ওইদিকে সিসি ক্যামেরাও ঠিক নেই।

তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাস বন্ধ হওয়ার আগে সিসি ক্যামেরা, পর্যাপ্ত লাইট এবং হলের চারপাশে পরিষ্কারের জন্য বারবার প্রভোস্টকে জানানোর পরেও তারা এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

এদিকে হলের পিছনে ঝোপঝাড় পরিষ্কারের বিষয়ে এর আগে কেউ অভিযোগ করেন নাই বলে জানিয়েছেন ওই হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শেখ এ বি এম জাকির হোসেন। তিনি বলেন, আমি হলটিতে নতুন যোগদান করেছি। তবে হলের নানান সমস্যা নিয়ে মিটিং হলেও পিছনের ঝোপঝাড় পরিষ্কারের বিষয়ে জানান নাই। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা কর্মীরা যথেষ্ট সচেতনতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছে তবে যেহেতু ওই পাশে সাপের ভয় আছে আর জঙ্গলে ভরা, সেহেতু ওই পাশ দিয়ে চুরির ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। তবে যেহেতু শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট ঘটনা, আমি সর্বোচ্চ পর্যায়ে জানিয়েছি। কাল অফিস খুললে হলের দায়িত্বরত সবাইকে নিয়ে বসবো।

বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, বিকেলে প্রভোস্ট আমাকে চুরির বিষয়টি জানিয়েছে। ওই সময় আমি দুইজন সহকারী প্রক্টর আর সিকিউরিটি অফিসারের সাথে প্রভোস্টকে কথা বলতে বলেছি। এখন হলের ঘটনা যেহেতু তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। আমরা সহযোগিতা করবো। আগামীকাল (শনিবার) ক্যাম্পাসে গিয়ে প্রভোস্টের সাথে আবার কথা বলবো।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence