জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বদলে গেলে বাংলাদেশ বদলে যাবে: ভিসি

  © টিডিসি ফটো

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মশিউর রহমান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে মানচিত্রসম সেই প্রতিষ্ঠান, যেটি বদলে দিলে বাংলাদেশ বদলে যাবে। ২ হাজার ২৫৭টি প্রতিষ্ঠান যদি দেশের বিভিন্ন জায়গায় বসান এটিই বাংলাদেশের মানচিত্র। এখানে যে ৩৫ লক্ষ শিক্ষার্থী পড়েন এবং তাদের পরিবার- এরাই বাংলাদেশের মূল ধারা। এখানেই শিল্প, সাহিত্য ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি। এখানেই ক্রীড়া, এখানেই শিক্ষা। এখানে যদি বদলে ফেলতে পারি তাহলে বাংলাদেশ বদলে যাবে।

আজ বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজের অডিটোরিয়ামে ‘প্রফেশনাল কলেজের ব্যবস্থাপনা, অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ও পরীক্ষা বিষয়ক কর্মশালা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আদর্শ শিক্ষক হওয়া সাধনার বিষয় বলে মনে করেন প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, দেশপ্রেমিক প্রজন্ম গড়তে হলে আদর্শ শিক্ষক বড় প্রয়োজন। শিক্ষকদের হাতেই তৈরি হবে সৃজনশীল, সৃষ্টিশীল, দেশপ্রেমিক ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন নাগরিক।

অধ্যক্ষদের উদ্দেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি বলেন, আপনাদের হাত দিয়ে যেসব শিক্ষার্থী তৈরি হয়, তাদেরকে যদি শিক্ষার আলোয় তৈরি করতে পারেন, তাদেরকে যদি দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরি করতে পারেন- তাহলেই দেশ বদলে যাবে। আমি তো মনে করি- সর্বাগ্রে প্রয়োজন দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরি, সৃজনশীল দক্ষ নাগরিক তৈরি। এসবের মধ্য দিয়েই দেশটাকে পাল্টে দিতে পারি। বড় কিছু অর্জনে অর্থ কোনো সংকট নয়। সংকট উদ্যোগ ও দৃষ্টিভঙ্গির। আপনি যদি মনে করেন আপনার প্রতিষ্ঠানে একজন জঙ্গি ছাত্র তৈরি হয়, তাহলে ধরে নিবেন বাংলাদেশ ধ্বংস করার কাজ আমরা ওখানে বসে কাজ করছি। আপনাদের নিশ্চিত করতে হবে- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো প্রতিষ্ঠানে একটি ছাত্রও মৌলবাদী দৃষ্টিভঙ্গির হতে পারবে না। আমাদের একজন শিক্ষার্থীও জঙ্গিবাদের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারবে না। সে হবে সৃজনশীল, সৃষ্টিশীল, দেশপ্রেমিক। দেশকে ভালোবাসবে। মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করবে।

ড. মশিউর রহমান আরও বলেন, কেমন করে শিখতে হয়। কেমন করে নিয়মিত ক্লাশে আনা যায়। কেমন করে পড়তে হয়। কেমন করে পড়ার অভ্যাস তৈরি করা যায় সেই কৌশলগুলো আমাদের বের করতে হবে।  একজন শিক্ষার্থীকে এগুলো শিখিয়ে দিলে ওই শিক্ষার্থী নিজেই নিজের পথ তৈরি করে নিবে। শিক্ষার পাশাপাশি তাদেরকে দেশপ্রেমিক ও মানবিক মূল্যবোধ শেখাতে হবে। আমাদের অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে। সেই প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে হবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দেশপ্রেমিক শিক্ষার্থী তৈরি করে জানিয়ে উপাচার্য বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলা হয়। আমি প্রায়শই এই কথা বলি- আপনারা অনেক সময় কটাক্ষ করে বলেন- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে শিক্ষার্থীরা বেকার থাকে। আমি বলবো-আমার শিক্ষার্থী লুটেরা হয় না। তারা গভীর দেশপ্রেমী। আমার শিক্ষার্থী দেশের জন্য মায়াবী মন নিয়ে কাজ করে। তাকে সেলুট জানান। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই কাদা মাটির মানুষ। এই আলো-বাতাসে তাদের বেড়ে ওঠা। এর মধ্যে যতো প্রতিবন্ধকতা থাকে, চ্যালেঞ্জ থাকে- সেটিকে ওভারকাম করে সে এই দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশকে ভালোবাসে। আমি দুর্নীতিগ্রস্ত ছাত্র কম তৈরি করি।

সারাদেশের প্রায় ১৫০টি প্রফেশনাল কলেজের অধ্যক্ষ এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে কলেজের বিভিন্ন সমস্যা, সম্ভাবনা ও সুপারিশ তুলে ধরে বক্তব্য দেন অধ্যক্ষবৃন্দ। কর্মশালায় অধ্যক্ষবৃন্দ ৩টি গ্রুপে ভাগ হয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান কলেজ উন্নয়ন নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। 

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বিন কাশেম। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান, তথ্য প্রযুক্তি (আইসিটি) দপ্তরের পরিচালক মো. মুমিনুল ইসলাম, কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) ফাহিমা সুলতানা প্রমুখ। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন দপ্তরের পরিচালক রফিকুল আকবর। কর্মশালায় শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আমিনুল হক। 


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence