নিহত শ্রমিকের ক্ষতিপূরণসহ শ্রমিকদের নিরাপত্তা দাবি ইবি ছাত্রলীগের

  © টিডিসি ফটো

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নির্মাণসামগ্রী গায়ে পড়ে শ্রমিক নিহতের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর ৮ দফা দাবি উত্থাপন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আগামী সাত দিনের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারীও দেন তারা।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গগন হরকরা গ্যালারীতে নিহত শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ ও কর্মস্থলে তাদের নিরাপত্তার দাবিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ দাবি জানান তারা।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম, সহকারী প্রক্টর শরিফুল ইসলাম জুয়েল, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী সহিদ উদ্দীন মোঃ তারেক, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. নওয়াব আলীসহ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারীরা। 

তাদের আট দফা দাবিসমূহের মধ্যে রয়েছে, শ্রমিকের মৃত্যুতে সংযুক্ত ঠিকাদার কোম্পানি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ হতে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা, বহুতল ভবনে জাল বা টিনের মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা, ক্যাম্পাস অভ্যন্তরে নির্মাণ সামগ্রির গাড়ির গতিসীমার নিয়ন্ত্রণ এবং গাড়ি দিনের বেলা প্রবেশ বন্ধ করা, উন্নয়নমূলক কাজ রাতের বেলা শিফট অনুযায়ী ভাগ করে করা, রাস্তার উপরে রড সিমেন্ট রাখা বন্ধসহ প্রকল্পের বিল্ডিং এর চারপাশ আটকে দেওয়া। 

এ ছাড়া শ্রমিকদের হেলমেট, পায়ে গামবুট, মুখে মাস্ক ও উপরে কাজ করার ক্ষেত্রে লিফট, সেফটি বেল্ট, শক্ত দড়ি-মাচা ব্যবহার করা, নির্মাণ সামগ্রী প্রবেশের দরুণ ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে রাস্তার ধূলাবালী নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া এবং শ্রমিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ রাখা।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ক্ষতিপূরণ দিয়ে তো আর জীবনের মূল্য দেওয়া সম্ভব নয়। সকল শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আগামীতে যেন কোন শ্রমিকের জীবনের মূল্য দিতে না হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী সহিদ উদ্দীন মোঃ তারেক বলেন, প্রতিটি দাবি যৌক্তিক। আমরা ঠিকাদারদের সাথে অতিদ্রুত যোগাযোগ করে নিহতের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। খুব দ্রুতই বাস্তবায়ন করা হবে। 

প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয় টায় নির্মাণাধীন ভবনে ওবায়দুর রহমান (৪০) নামে এক শ্রমিক পাইলিং করার সময়ে নিহত হন। তিনি পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার রূপপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের পুত্র। এ ছাড়া ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মনিরুল  ইসলাম (২৬) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়।


সর্বশেষ সংবাদ