এটিইও নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:১৪ PM , আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:১৫ PM
সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিইও) নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ও নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করে পরীক্ষা বাতিল এবং পুনঃপরীক্ষার দাবি জানিয়েছেন প্রার্থীরা।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে বিভাগীয় পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ’ ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মো. রিয়াজুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য জানানো হয়, গত ৩ সেপ্টেম্বর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার পদে ১৯০% কমন সাজেশন দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে মতিউর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্য সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি জাহিদুল ইসলাম।
তবু নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ১২ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার আগের রাত ২টা ৬ মিনিটে Zahid Khan (All Exam Helper) নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ মেলে, যা প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে, ১৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগ স্বাধীন মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীরা অভিযোগ করেন, আবেদন প্রক্রিয়ার দুর্বলতার কারণে বহিরাগতরাও পরীক্ষায় অংশ নিতে সক্ষম হয়েছেন, ফলে বৈধ প্রার্থীদের ন্যায্য প্রতিযোগিতা ব্যাহত হয়েছে। এ ছাড়া পিএসসি নির্ধারিত সিলেবাস অনুসরণ না করায় পরীক্ষার স্বচ্ছতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।
একই দিন দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা পরীক্ষা বাতিল না হলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (শাহিন–লিপি) সাধারণ সম্পাদক খায়রুন নাহার লিপি বলেন, ‘২০১৬ সালের এটিইও পরীক্ষায়ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল, কিন্তু তখন পরীক্ষা বাতিল করা হয়নি। এবারের (১২ সেপ্টেম্বর) পরীক্ষায় যে মাত্রার অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রশ্নফাঁস হয়েছে, তা মেধাভিত্তিক প্রতিযোগিতা ও ন্যায়বিচার মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করেছে। এতে প্রকৃত যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।’
তিনি যোগ করেন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা পদে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের পক্ষ থেকে পরীক্ষা বাতিল করে দ্রুত পুনঃপরীক্ষা গ্রহণের দাবি জানানো হচ্ছে।