পিএসসির সামনে ‘সন্দেহভাজন’ যুবক আটক

আন্দোলনরত চাকরি প্রত্যাশীরা
আন্দোলনরত চাকরি প্রত্যাশীরা  © টিডিসি

৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা দ্রুত শেষ করে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে চলমান আন্দোলনের মাঝেই পিএসসির সামনে সন্দেহজনক আচরণ করা এক যুবককে শনাক্ত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। 

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল ৬টার দিকে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা স্লোগান দেওয়ার সময় ওই যুবকের আচরণে অসঙ্গতি দেখা দিলে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাকে ঘটনাস্থল থেকেই আটক করেন। বর্তমানে তিনি সেনাবাহিনীর হেফাজতে রয়েছেন এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

আন্দোলনকারীদের একজন ডা. সিয়াম বলেন, ‘ওই যুবক আমাদের কেউ না। তার আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় আমরা তাকে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছি।’ তবে এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

এর আগে আজ সকাল থেকে পিএসসির আশপাশের এলাকায় জড়ো হতে থাকেন চাকরিপ্রার্থীরা। পরে একসঙ্গে জড়ো হয়ে পিএসসির সামনে এসে বিভিন্ন স্লোগান তারা। চাকরিপ্রার্থীরা পিএসসির সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান। তারা পিএসসির সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।

আন্দোলনকারী চাকরি প্রার্থীরা জানান, এর আগে তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ সেনাবাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা হামলা চালান এবং তিনজনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়৷ এরই প্রতিবাদ এবং ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছনের দাবিতে আবারও আজকে তারা কর্মসূচি দিয়েছেন। আন্দোলন চলাকালীন সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতায় হওয়া আলোচনায় সভা ফলপ্রসূ হয়নি বলে জানান আন্দোলনকারীরা। সভা ফলপ্রসূ না হওয়ায় চাকরিপ্রার্থীরা সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত সড়কে অবস্থান করবেন বলেও জানান তারা। 

গত ৮ এপ্রিল ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানিয়ে একদল চাকরিপ্রার্থী পিএসসির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে তারা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন।

ওই দিন চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয় ২০২৪ সালের ২২ ডিসেম্বর। ৬ মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এখনও অর্ধেক প্রার্থীর ভাইভা শেষ হয়নি। যে গতিতে পিএসসি এগোচ্ছে, তাতে আরও এক বছর সময় লাগবে ৪৪তম বিসিএসের ভাইভা শেষ করতে। এর মধ্যে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা রয়েছে। মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অধিকাংশ প্রার্থী ৪৬-এর লিখিত দেবে। তারা মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবেন, নাকি লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবে?

তাদের দাবি, বাকি থাকা ভাইভা প্রার্থীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি প্রকাশ করতে হবে। চলতি বছরের মে মাসের মধ্যে ভাইভা শেষ করা। জুন মাসের মধ্যে চূড়ান্ত ফলাফল দিতে হবে। এ ছাড়া তারা বলেন, নন-ক্যাডার বিধি ২০২৩ বাতিল করতে হবে। ৪৪তম বিসিএসে ক্যাডার এবং নন-ক্যাডারে পদসংখ্যা বৃদ্ধি করে ভাইভায় উত্তীর্ণ সবাইকে চাকরির দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ