১৫ বছর আগেই কোটা পদ্ধতি সহজ করার সুপারিশ করে পিএসসি 

সরকারি কর্ম কমিশন
সরকারি কর্ম কমিশন  © ফাইল ছবি

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা আন্দোলন করছেন কিছুদিন ধরে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে সব মহলে আলোচনা চলছে। তবে ১৫ বছরেরও বেশি সময় আগে কোটা সংস্কারের বিষয়ে কিছু সুপারিশ করেছিল সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বাধীন কমিটিও কিছু সুপারিশ করেছিল। তারপরও বিষয়টির কার্যকর সুরাহা হয়নি।

এখন কোটাপদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে জোরালো হলেও ইস্যুটি বেশ পুরোনো। ২০১৮ সালে আন্দোলনের মুখে নবম থেকে ১৩তম গ্রেডের বা আগের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার। এর আগেই কোটা প্রয়োগের পদ্ধতি সহজ করার জন্য ২০০৯ সালে সরকারের কাছে পিএসসি কিছু সুপারিশ করেছিল।

বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সুপারিশের মধ্যে ছিল- মুক্তিযোদ্ধা, নারী ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর কোটাগুলো জাতীয় পর্যায়ে বণ্টন করা যেতে পারে। এর মানে সেগুলো পুনরায় জেলা বা বিভাগভিত্তিক ভাগ করা যাবে না। জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রাপ্য পদের সর্বোচ্চ সংখ্যা দিয়েও সীমিত করা যাবে না। এ পদগুলো জাতীয়ভিত্তিক নিজস্ব মেধাক্রম অনুযায়ী বণ্টন করা যেতে পারে।

কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত ২০ শতাংশ পদে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হতো, ৮০ শতাংশ ছিল কোটায়। পরে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ ৪০ শতাংশ করা হয়। ১৯৮৫ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে মেধার ভিত্তিতে ৪৫ শতাংশ নিয়োগের নিয়ম চালু হয়েছিল। ৫৫ শতাংশ ছিল কোটা। 

পরবর্তীতে প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ যোগ করে ৫৬ শতাংশ হয় কোটা। এতে বাছাই, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে কোটার অনেক পদ শূন্য থাকত। যদিও পরে কোটার পদ শূন্য থাকলে মেধায় নিয়োগের নিয়ম চালু হয়।

আরো পড়ুন: আজ সব ক্যাম্পাসে প্রতীকী বৈঠক, সন্ধ্যায় পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা

কোটার প্রয়োগকে জটিল, দুরূহ এবং সময়সাপেক্ষ উল্লেখ পিএসসির ২০১৫ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, কোটা প্রয়োগের পদ্ধতি সহজ করা আবশ্যক। এ পদ্ধতির জটিলতার কারণে উপযুক্ত প্রার্থী নির্বাচন নিখুঁতভাবে করা প্রায় অসম্ভব। প্রার্থীদের পছন্দক্রম এবং জেলা বা বিভাগের জন্য আরোপিত সংখ্যাগত সীমারেখা সংযুক্ত হয়ে বহুমাত্রিক সমীকরণ দাঁড় করায়, যার নির্ভুল সমাধান নির্ধারিত সময়ে করা প্রায় অসম্ভব। 

পিএসসি বলেছিল, কম সময়ে ও নির্ভুলভাবে বিসিএসসহ নন-ক্যাডারে পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা প্রয়োগের পদ্ধতি সহজ করা আবশ্যক। অন্যথায় জটিলতা থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। পরে ২০১৬ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনেও একই ধরনের সুপারিশ করেছিল পিএসসি।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence