নর্থ সাউথকে বাঁচাতে দুদকের তদন্ত দ্রুত শেষ করার দাবি

আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠন এ কর্মসূচি পালন করে
আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠন এ কর্মসূচি পালন করে  © সংগৃহীত

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়কে বাঁচাতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চলমান অনুসন্ধান ও তদন্ত কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছে আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠন। সংগঠনটির নেতারা বলেন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় অনিয়ম, দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদে পর্যদস্তু। বিশ্ববিদ্যালয়কে বাঁচাতে আজিম-কাসেম সিন্ডিকেটের দ্রুত বিচার সময়ের দাবি।

আজ মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমির সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এই দাবি জানানো হয়। মানববন্ধন শেষে দুদকে ৮ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি পেশ করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কম মূল্যের জমি বেশি দামে ক্রয়, ডেভলাপার্স কোম্পানি থেকে কমিশন নেয়া, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যের জন্য বিলাসবহুল গাড়ি ক্রয়, অনলাইনে মিটিং করেও সমপরিমাণ এলাউন্স গ্রহণ, নিয়ম ভেঙ্গে ফান্ডের কোটি কোটি টাকা নিজেদের মালিকানাধীন ব্যাংকে এফডিআর, মঞ্জুরী কমিশনের নির্দেশনা অমান্য করে কয়েকগুণ শিক্ষার্থী ভর্তি, অতিরিক্ত বিভাগ খোলাসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে বিপর্যস্ত নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।

অন্যদিকে, ব্লগার রাজীব হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি জঙ্গি নাফিস ইমতিয়াজকে পুনরায় ভর্তি করে আতঙ্ক তৈরি করেছে। আর এসবের পেছনে দায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ট্রাস্টি আজিম উদ্দিন ও এমএ কাসেম সিন্ডিকেটকে দায়ী করা হয়। এ সময় বক্তারা দাবি করেন, বারবার এ বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বশীল দফতরে অভিযোগ করা হলেও এখনও কার্যকর কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। দ্রুততম সময়ে দুদক অনুসন্ধান ও তদন্ত শেষ করে দোষীদের দ্রুত বিচারের দাবি করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আইন ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এড. মহিউদ্দিন জুয়েল, সংগঠনের উপদেষ্টা ড. সুফী সাগর সামস, বাংলাদেশ সংবাদপত্র (গণমাধ্যম) কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান তালুকদার, আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো. উজ্জ্বল হোসেন মুরাদ, বাংলাদেশ পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান এম ইব্রাহিম পাটোয়ারি, সাংবাদিক নেতা কালিমুল্লা ইকবাল প্রমুখ।

মানববন্ধন শেষে দুর্নীতি দমন কমিশনে ৮ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি পেশ করা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-

১) নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ট্রাস্টি আজিম উদ্দিন আহমেদ ও এমএ কাসেমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও গ্রেপ্তার করা।

২) সব আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত ও আজিম-কাসেমসহ সিন্ডিকেটের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা।

৩) প্রধানমন্ত্রীর সই জালিয়াতির মূল আসামি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানের দ্রুত বিচার করা।

৪) আজিম-কাসেম ও তাদের সিন্ডিকেটের সদস্যদের সব ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে অব্যাহতি দেয়া।

৫) ব্লগার রাজিব হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি নাফিস ইমতিয়াজকে পুনরায় ভর্তি করানোর উপযুক্ত ব্যাখ্যা ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতার তদন্ত করা।

৬) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নিয়ম মেনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করা।

৭) আজিম-কাসেম সিন্ডিকেটের স্বজনপ্রীতির হাত থেকে রক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা।

৮) আজিম-কাসেমকে গ্রেপ্তার করে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়কে দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা করা।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!