বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৩% শিক্ষার্থী সেমিস্টার ড্রপ দিতে চায়

  © লোগো

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সৃষ্ট সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ড্রপ বা সেমিস্টার ব্রেক দেয়ার আশঙ্কা করছিল দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এবার বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের জরিপেও একই তথ্য উঠে এসেছে। জরিপে অংশ নেয়া ৪৩ শতাংশ শিক্ষার্থীই জানিয়েছেন তারা নতুন সেমিস্টারের নিবন্ধন পেছাতে চান। আর নতুন সেমিস্টারে কোর্সের সংখ্যা কমাতে চান ২৯ শতাংশ শিক্ষার্থী। 

গত ২৩ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর অনলাইনে একটি জরিপ পরিচালনা করে ডেটাভিত্তিক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ডেটাফুল। “বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর কোভিড-১৯ পরিস্থিতির প্রভাব” শীর্ষক জরিপে ২৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। জরিপে দৈবচয়নের ভিত্তিতে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই প্রথম সেমিস্টারে অধ্যয়নরত।

জরিপে শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাওয়া হয় তারা করোনার ছুটির পর নতুন সেমিস্টারের নিবন্ধন পেছাতে পারেন কি না। জরিপের ফলে দেখা যায়, ৪৩ শতাংশ শিক্ষার্থী নিবন্ধন পেছাতে চান বলে মত দেন।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের পক্ষ থেকে কথা বলেও একই চিত্র পাওয়া গেছে। নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আমি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে খন্ডকালীন কাজ করে সেমিস্টারের খরচ জোগাড় করি। গত মার্চ থেকে আমার আয় বন্ধ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঢাকায় ফিরে কাজ করে আগে টাকা জোগাড় করবো, তারপর নতুন সেমিস্টার।”

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সেমিস্টার নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়েই বেশ কঠোর নীতি রয়েছে, এজন্য বেশ সতর্ক থাকতে হয় তাদের। এক শিক্ষার্থীর ভাষ্যে “বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে একটা পিকুইলিয়্যার সিস্টেম আছে। একজন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করলো মানেই সে এনরোলড। এরপর যত সমস্যাই হোক তাকে কন্টিনিউ করতে হবে। না করলেও টাকা দিতে হবে।”

অনলাইনে পরিচালিত ওই জরিপেও শিক্ষার্থীদের আর্থিক সংকটের বিষয়টি উঠে আসে। জরিপের প্রশ্নের জবাবে ৮৪ শতাংশ শিক্ষার্থীই জানিয়েছেন, করোনার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি তাদের পরিবারের আয়ে প্রভাব ফেলছে।

এছাড়া জরিপে অনলাইনে ক্লাস ও ক্লাসের মাধ্যম বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। সেক্ষেত্রে দেখা যায়, করোনার বন্ধে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাসে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীর হার ৭১ শতাংশ। আর অনলাইন ক্লাসের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মাধ্যম গুগল মিট, জুম ও গুগল ক্লাসরুম।


সর্বশেষ সংবাদ