লাবণ্যকে চাপা দেওয়া কাভার্ডভ্যানসহ চালক আটক, শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

ফাহমিদা হক লাবণ্য
ফাহমিদা হক লাবণ্য

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের সামনে কাভার্ডভ্যানের চাপায় ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাহমিদা হক লাবণ্য নিহত হয়েছেন। ঘাতক কাভার্ডভ্যানটি চালকসহ আটক করেছে পুলিশ। অন্যদিকে নিহতের প্রতিবাদে শনিবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন লাবণ্যর সহপাঠীরা।

তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার জানান, একটি কাভার্ডভ্যান চালকসহ আটক করা হয়েছে। তবে সেটি যে ঘটনার জড়িত ছিল- সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।

এদিকে লাবণ্য নিহতের ঘটনায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে শনিবার দুপুরে মানববন্ধন করেন তার সহপাঠীরা। মহাখালীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন সহপাঠীরা। প্ল্যাকার্ডগুলোতে ‘৩০০ টাকার হেলমেট জীবন বাঁচাবে তো?’, ‘আজ নিরাপদে বাড়ি ফিরব তো?’, ‘উবার-পাঠাও চালকদের দক্ষতা পরীক্ষণের মাধ্যমে আলাদা নীতিমালা চাই’ লেখা বিভিন্ন প্রতিবাদী বাক্য থাকতে দেখা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিইসি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সারতাজ ইসলাম শোভন বলেন, লাবণ্যের মৃত্যু চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছে, সড়ক আমাদের জন্য মৃত্যুর ফাঁদ। সড়কে শৃঙ্খলা নেই। নেহাত দুর্ঘটনা নয়, লাবণ্যের মৃত্যু হত্যার শামিল।

তিনি আরো বলেন, বেলা পৌনে ১১টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ওই সময় তো কাভার্ডভ্যানের মতো ভারি যানবাহন সড়কে থাকার কথা নয়। অথচ পুলিশের সামনেই ওই কাভার্ডভ্যানটি চলাচল করেছে। কেউ কোথাও আটকায়নি।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সামনে একটি কাভার্ডভ্যান মোটরসাইকেলকে পিছন থেকে ধাক্কা দিলে চালক ও আরোহী রাস্তায় ছিটকে পড়েন। পরে কাভার্ডভ্যানটি আরোহী ফাহমিদা হক লাবণ্যকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। লাবণ্য ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ