এনএসইউতে ‘বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক: চ্যালেঞ্জ নাকি সুযোগ’ শীর্ষক লেকচার 

  © সংগৃহীত

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) স্কুল অফ হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্স ‘বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুদ্ধ: চ্যালেঞ্জ নাকি সুযোগ’ শীর্ষক একটি লেকচার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার (২১ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ লেকচারের আয়োজন কার হয়। এ লেকচারটি স্কুল অফ হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের ডিসটিংগুইশড লেকচার সিরিজের অংশ।

অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ছিলেন ড. ফাহমিনা খাতুন, নির্বাহী পরিচালক, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। তিনি আমেরিকা ও বাংলাদেশের মধ্যে বর্তমান বাণিজ্য সম্পর্কের বিস্তারিত আলোচনা করে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে শুদ্ধ বৃদ্ধি করেছে তার জন্য রপ্তানি নির্ভর দেশগুলোর জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘৯০ দিনের বিরতির প্রস্তাব সাময়িক কিছু স্বস্তি আনবে। সে অনুযায়ী বাংলাদেশকে কৌশলগতভাবে কাজ করতে হবে। আমেরিকার সাথে শুদ্ধ হাড়ের জন্য এবং টিকফা এর মাধ্যমে বাণিজ্য সহযোগিতার প্রস্তাব দিতে হবে। তিনি বিশ্বব্যাপী পরিবর্তনের সাথে খাপ খেয়ে বিনিয়োগ পরিকল্পনার জন্য জোর দেন।’

অনুষ্ঠানের আলোচক ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিকসের ডিন অধ্যাপক এ কে এম ওয়ারেসুল করিম। অধ্যাপক করিম তার বক্তব্যে বাংলাদেশের নীতি নির্ধারণের বিষয়ে কথা বলেন। তিনি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যনীতি পর্যালোচনার ওপরে গুরুত্ব আরোপ করেন। বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইপিজেড স্থাপন করার সুযোগ নিয়ে কথা বলেন। তিনি আরও বলেন শুধুমাত্র ন্যায্য বিষয়ে শুল্ক আরোপ করা যাবে।

অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা ও সভাপতিত্ব করেন নর্থ সাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও উপ-উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আবদুর রব খান। তিনি বলেন, এ শুল্কনীতি পরিবর্তন না করলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশ আরেকটি বিশ্বমন্দার সম্মুখীন হবে। 

এতে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের ডিন অধ্যাপক মো. রিজওয়ানুল ইসলাম। তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশে ট্রাম্পের এ শুদ্ধকে বাংলাদেশের অর্থনীতি পর্যালোচনার জন্য একটি সুযোগ হিসেবে দেখার জন্য নীতি নির্ধারণের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে তাঁর নিজের স্বার্থেই শুধু প্রমথন পণ্য উৎপাদন নয়, বরং সেবা খাতের বাণিজ্য বৃদ্ধিতে উদ্যোগী হতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ