ইসরায়েল-ইরান সংঘাত: তুরস্কের আঙ্কারা থেকে দৃশ্যপট কেমন?

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি  © সংগৃহীত

আল জাজিরার পক্ষ থেকে আমরা কথা বলেছি বারিন কায়াউওগলুর সঙ্গে, যিনি আঙ্কারার সোশ্যাল সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটিতে আমেরিকান স্টাডিজ বিভাগের চেয়ার এবং সহকারী অধ্যাপক। চলমান ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে তুরস্ক কী ভূমিকা নিতে পারে—সে বিষয়ে তিনি তার বিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন।

তুরস্ক ও ইরানের সম্পর্ককে বারিন কায়াউওগলু বর্ণনা করেছেন “বন্ধুত্ব ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার মিশ্রণ” বা কথিতভাবে “ফ্রেনেমি” হিসেবে। তার মতে, আঙ্কারা থেকে তেহরানকে কোনো ধরনের বস্তুগত সহায়তা—বিশেষ করে সামরিক সহায়তা—প্রদানের সম্ভাবনা খুবই কম।

তিনি জানান, অতীতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ ছিল। তবে একাধিক ইস্যুতে বিশেষ করে সিরিয়ায় তারা দীর্ঘদিন ধরেই কৌশলগত প্রতিযোগিতায় লিপ্ত।

তিনি বলেন, ‘গত ডিসেম্বর আল-আসাদ সরকারের পতনের পর আঙ্কারা ও তেহরানের মধ্যে সম্পর্ক কিছুটা শীতল হয়েছে—যদি একে সেইভাবে ব্যাখ্যা করা যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘তেহরান নিঃসন্দেহে হতাশ। কারণ তারা তাদের একজন গুরুত্বপূর্ণ মিত্রকে হারিয়েছে। বিপরীতে তুরস্কের এরদোগান সরকার অনেকটাই স্বস্তিতে। কারণ সিরিয়ায় তারা নিজেদের অনুগত এক শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে সক্ষম হয়েছে।’

তবে বারিন কায়াউওগলু স্পষ্ট করে বলেন, ‘এটা বলা ঠিক হবে না যে তুরস্ক ইরানের দুর্দশা উপভোগ করছে। বরং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ইসরায়েলের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।’

তার মতে, আঙ্কারায় গভীর উদ্বেগ রয়েছে যে, ইসরায়েল কেবল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে দুর্বল করতে চাইছে না, বরং দেশটিতে ‘একটি বৃহৎ ও সম্ভবত সহিংস সরকার পরিবর্তনের’ চেষ্টা করছে। যা তুরস্কের জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে সাংঘর্ষিক।


সর্বশেষ সংবাদ