বেইলি রোড ট্র্যাজেডি
১১ দিন পর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র নাজমুলের মরদেহ হস্তান্তর
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৪, ০৪:১৭ PM , আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৪, ০৪:২৮ PM
রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় ১১ দিন পর নাজমুল ইসলামের (২৫) মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে সিআইডি। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকেল সাড়ে তিনটায় বাবা নজরুল ইসলামের কাছে নাজমুলের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সিআইডির ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের পরিদর্শক মো. মাসুদ পারভেজ।
সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, গত ১ মার্চ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে নাজমুলের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে তার পরিবারের সঙ্গে ডিএনএর নমুনা মিলে যাওয়ায় আজ (মঙ্গলবার) নাজমুল ইসলামের মরদেহ তার পরিবারের কাছে আমরা হস্তান্তর করেছি। এছাড়া গতকাল (সোমবার) আমরা বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করি।
রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান। ঘটনার পর তার দুই বন্ধুর লাশ পাওয়া গেলেও নাজমুলের সন্ধান পায়নি বলে অভিযোগ ছিল পরিবার।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন নাজমুল। নজরুল ইন্ডাস্ট্রিজের (পাইপ ও ফিটিংস) মালিক নজরুল ইসলামের চার ছেলের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়।
আরও পড়ুন: জানাজা শেষে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনকে গ্রামের বাড়িতে দাফন
অগ্নিকাণ্ডের পরদিন শুক্রবার (১ মার্চ) নজরুল ইসলাম জানান, নাজমুল ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। অগ্নিকাণ্ডের কিছুক্ষণ আগে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে যান নাজমুলদের এক বন্ধু। তিনিই পরে বাকি বন্ধুদের পরিবারকে অগ্নিকাণ্ডের খবর জানান।
তার মামা আনোয়ার হোসেন গাজী বলেন, নাজমুল অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছিল সে। ভার্সিটি শেষ কইরা বিদেশে পাঠানোর স্বপ্ন ছিল দুলাভাইয়ের (নাজমুলের বাবা)। সব পুইড়া শেষ হইয়া গেল।
বেইলি রোডের ওই ভবনে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগে। এতে ৪৬ জন নিহত হন।