ত্রয়োদশ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় বন্ধ হলো
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১৬ PM
উপদেষ্টা পরিষদের নীতিগত অনুমোদনের পর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। নতুন বিধান অনুযায়ী, জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী যদি জোটের অংশ হয়, তবুও তাকে নিজের দলের প্রতীকে ভোটে অংশ নিতে হবে।
২০১৪ সালের নির্বাচনের মতো বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা যেন আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করতেই সংশোধনীতে নতুন নিয়ম যোগ করা হয়েছে। এখন থেকে কোনো আসনে যদি একজনই প্রার্থী থাকেন, তবে ভোটাররা সেখানে ‘না ভোট’ দিতে পারবেন। যদি ‘না ভোট’ প্রাপ্তির হার বেশি হয়, তাহলে ঐ আসনে পুনঃনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া, কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল চলমান থাকলে বা আপিলের নির্ধারিত সময় শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাউকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা যাবে না—এমন বিধানও রাখা হয়েছে। এসব পরিবর্তনসহ সরকার ‘গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে।
উপদেষ্টা পরিষদের নীতিগত অনুমোদনের পর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। ফলে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থীকে জোটে গেলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে।
২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনা ভোটে ১৫৪ জন নির্বাচিত হয়েছিলেন, এই ধরনের নির্বাচন যেন না হয়। অর্থাৎ যেই নির্বাচনে একজন প্রার্থী থাকবে সেখানে যারা ভোটার আছে তারা ‘না’ ভোট দিতে পারবেন। ‘না ভোট’ বেশি হলে ওই এলাকায় নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া কোনো প্রার্থী যদি মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করতে চান, তাহলে আপিলের নির্ধারিত সময় শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিংবা আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কাউকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা যাবে না। এমন বিধান রেখে ‘গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ জারি করেছে সরকার।
সোমবার রাতে আইন মন্ত্রণালয় লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে গণপ্রতিনিধিত্ব (আরপিও) অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি এ অধ্যাদেশ জারি করেছেন। এর আগে অধ্যাদেশের খসড়া উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়।