জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে ২২ কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

বিএনপির লোগো
বিএনপির লোগো  © সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক মাসব্যাপী ২২টি ভিন্নধর্মী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচির ঘোষণা দেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ১ জুলাই থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত আলোচনা সভা, রক্তদান কর্মসূচি, গ্রাফিতি অঙ্কন, পথনাটক, ফুটবল টুর্নামেন্ট, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশু অধিকারবিষয়ক আয়োজন, ডেঙ্গু ও করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম এবং বিজয় মিছিলসহ মোট ২২টি কর্মসূচি পালন করা হবে। 

ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আগামী ১ জুলাই বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে সব রাজনৈতিক দল ও জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা। ৩ জুলাই দেশব্যাপী (জেলা পর্যায়ে) ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) উদ্যোগে রক্তদান কর্মসূচি। ৫ জুলাই ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে ধানমন্ডি ক্লাব মাঠে ফুটবল টুর্নামেন্ট।

৯ জুলাই বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য ফারজানা শারমিন ও গুম খুনের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের নিয়ে গঠিত সংগঠন মায়ের ডাকের সমন্বয়কারী সানজিদা ইসলামের তত্ত্বাবধানে সেমিনার হবে। ১১ জুলাই জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) উদ্যোগে আয়োজন করা হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।

১২ জুলাই ছাত্রদলের উদ্যোগে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) প্রাঙ্গণে ছাত্রদলের উদ্যোগে ‘প্রতিরোধে পরাজিত গণশত্রু’ শীর্ষক আলোচনা সভা এবং রংপুর ও চট্টগ্রামে যথাক্রমে শহীদ আবু সাঈদ ও শহীদ ওয়াসিমের স্মরণে কর্মসূচি পালন করা হবে।

১৮ জুলাই ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে মৌন মিছিল এবং ওলামা দলের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। ১৯ জুলাই ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আলোচনা সভা এবং জিয়া উদ্যানের পাশাপাশি জেলা পর্যায়ে কৃষক দল ও আমরা বিএনপি পরিবারের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হবে। একই দিন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

২২ জুলাই মহিলা দলের কর্মসূচির পালিত হবে। ২৩ জুলাই শাহবাগে ‘জুলাইয়ে লাশের সারি’ শীর্ষক প্রতীকী স্মৃতিস্তম্ভ প্রদর্শন এবং দৃক গ্যালারিতে ফ্যাসিস্ট কার্টুন প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।

২৬ জুলাই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ‘রোড টু জুলাই’ শিরোনামে গ্রাফিতি অঙ্কন ও গণসংগীত পরিবেশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। ২৭ জুলাই বিভাগীয় পর্যায়ে গ্রাফিতি অঙ্কন ও গণসংগীত পরিবেশন কর্মসূচি পালিত হবে।

২৮ জুলাই স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে ডেঙ্গু ও করোনা প্রতিরোধে পানি ও ডোবা পরিষ্কারের কর্মসূচি এবং মায়ের ডাক ও আমরা বিএনপি পরিবারের উদ্যোগে ‘গণতান্ত্রিক পথযাত্রায় শিশু’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। ৩১ জুলাই আইনজীবী ফোরামের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালিত হবে।

আগামী ২ আগস্ট ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে ‘পালাব না, কোথায় পালাব? শেখ হাসিনা পালায় না’ শীর্ষক পথনাটক এবং উত্তরা, রামপুরা, মিরপুর ও যাত্রাবাড়ীতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

৩ আগস্ট ছাত্রদলের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্রসমাবেশের আয়োজন করা হবে। ৪ আগস্ট যুবদলের উদ্যোগে কর্মসূচি নেওয়া হবে। সর্বশেষ ৬ আগস্ট বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে কেন্দ্রীয়ভাবে বিজয় মিছিল করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী (এ্যানী), ইমরান সালেহ (প্রিন্স), স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন (টুকু), আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম (মুন্না) ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম (নয়ন), দপ্তরে সংযুক্ত বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, মায়ের ডাকের সমন্বয়কারী সানজিদা ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!