শ্রীলংকায় এখন শুধুই হাহাকার, যে ছয় কারণে এই বিপর্যয়

দেশটির রাষ্ট্রপতির অফিসের সামনে রুটি পুড়িয়ে বিক্ষোভ করছেন এক আন্দোলনকারী
দেশটির রাষ্ট্রপতির অফিসের সামনে রুটি পুড়িয়ে বিক্ষোভ করছেন এক আন্দোলনকারী  © সংগৃহীত

চরম এক সংকটকাল অতিক্রম করছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলংকা। দেশটিতে এখন শুধু হাহাকার। জ্বালানী তেল এবং খাদ্য কেনার জন্য উর্ধ্বশ্বাসে ছুটছে সাধারণ মানুষ। ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে কখনো এতোটা দুরাবস্থায় পড়েনি দেশটি। বৈদেশিক মুদ্রার তীব্র সংকট বেসামাল করে তুলেছে দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে।

বৈদেশিক ঋণের ভারে জর্জরিত শ্রীংলকা। পরিস্থিতি এমন অবস্থায় ঠেকেছে যে তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি ব্যয় মেটাতে পারছে না। জিনিসপত্রের দাম এখন আকাশছোঁয়া। কাগজের অভাবে দেশটির স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। কারণ, কাগজ আমদানি করার মতো বৈদেশিক মুদ্রা তাদের কাছে নেই।

জ্বালানী তেলের তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে দেশটিতে। তেল সংগ্রহের জন্য হাজার-হাজার মানুষ লাইনে ভিড় করেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশের পেট্রোল পাম্পগুলোতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে দেশটির সরকার। কারণ, জ্বালানী তেল আমদানি করার জন্য বৈদেশিক মুদ্রা নেই শ্রীলংকার কাছে।

ইরানের কাছ থেকে জ্বালানী তেল আমদানি বাবদ আড়াইশ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে পারেনি শ্রীলংকা। এর বিনিময়ে প্রতিমাসে পাঁচ মিলিয়ন ডলারের চা ইরানে রপ্তানি করবে শ্রীলংকা। এভাবে ধীরে ধীরে সে টাকা পরিশোধ করা হবে।

অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প

গত ১৫ বছরে শ্রীলংকা বেশ কিছু মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর, রাস্তা এবং আরো নানা ধরণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে রাজধানী কলম্বোর কাছেই সমুদ্র থেকে ভূমি উদ্ধার করে কলম্বো পোর্ট সিটি নামে আরেকটি শহর তৈরি করা হচ্ছে। এর কাজ শেষ হতে সময় লাগবে ২৫ বছর এবং বাজেট ধরা হয়েছে প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার।

বলা হয়, হংকং, দুবাই এবং সিঙ্গাপুরকে টেক্কা দেবে নতুন এই শহর। চীনের সাথে একত্রিত হয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে শ্রীলংকা। দেশটির বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন উৎস থেকে শ্রীলংকা ঋণ নিয়েছে। বিপুল অর্থ খরচ করা হলেও অনেক প্রকল্প অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হয়নি।

কলম্বো বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক শ্রিমাল আবিরত্নে বলেন, কিছু বড় বড় প্রকল্প শ্রীলংকার জন্য 'শ্বেতহস্তীতে' রূপান্তরিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হাম্বানটোটা সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দর।

অধ্যাপক আবিরত্নে বলেন, গত ১৫ বছর ধরে শ্রীলংকায় সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ তেমন একটি হয়নি। বিদেশি বিনিয়োগের পরিবর্তে বিভিন্ন সরকার ঋণ করার প্রতি মনোযোগী হয়েছে।

গত এক দশকে চীনের কাছ থেকে শ্রীলংকা ঋণ নিয়েছে পাঁচ বিলিয়ন ডলার। এ ঋণ দিয়ে শ্রীলংকা বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরি করেছে। অধ্যাপক আবিরত্নে বলেন, এক্ষেত্রে শুধু চীনের ঋণকে দোষারোপ করলে হবে না। চীনের কাছ থেকে ঋণ নেয়া সহজ। সেজন্য তাদের কাছ থেকে নিয়েছে। শ্রীলংকার মোট ঋণের ১০ শতাংশ চীন থেকে নেয়া," বলেন অধ্যাপক আবিরত্নে।

তিনি বলেন, শ্রীলংকার মোট ঋণের ৪৭ শতাংশ বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন বন্ড ইস্যু করে নেয়া হয়েছে।

অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, ঋণের অর্থ অনেক অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে ব্যবহার করা হয়েছে। এসব প্রকল্প থেকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যাচ্ছে না। চীন হচ্ছে শ্রীলংকার সবচেয়ে বড় ঋণদাতা। এছাড়া আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মুদ্রা বাজার, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এবং জাপানের কাছ থেকেও ঋণ নিয়েছে শ্রীলংকা।

ঋণের ভারে জর্জরিত

শ্রীলংকার এ সমস্যা রাতারাতি তৈরি হয়নি। গত ১৫ বছর ধরে এ সমস্যা পুঞ্জীভূত হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন উৎস থেকে দেদারছে ঋণ নিয়েছে শ্রীলংকার বিভিন্ন সরকার। এর মধ্যে অন্যতম উৎস্য হচ্ছে সার্বভৌম বন্ড। ২০০৭ সাল থেকে দেশটির সরকার অর্থ জোগাড়ের জন্য সার্বভৌম বন্ড ইস্যু করেছে।

অর্থনীতিবিদরা বলেন, একটি দেশের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হলে এ ধরণের সার্বভৈৗম বন্ড বিক্রি করা হয়। আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজারে এ ধরণের বন্ড বিক্রি করে অর্থের জোগান দেয়া হয়। শ্রীলংকা সেটাই করেছে। কিন্তু এই অর্থ কিভাবে পরিশোধ করা হবে সে ব্যাপারে খুব একটা চিন্তা-ভাবনা করেনি।

ঋণ পরিশোধে বেহাল অবস্থা

আন্তর্জাতিক সার্বভৈৗম বন্ড বাবদ শ্রীলংকার ঋন রয়েছে এখন সাড়ে বারো বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়া দেশীয় উৎস থেকেও সরকার ঋণ করেছে। সব মিলিয়ে চলতি বছর শ্রীলংকাকে প্রায় সাত বিলিয়ন ডলার ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এ সাত বিলিয়ন ডলার ঋণের মধ্যে বৈদেশিক ঋণ (আন্তর্জাতিক সার্বভৌম বন্ড) দেড় বিলিয়ন ডলার।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চলতি বছর এসব ঋণ শোধ করতে পারবে না দেশটি। কিন্তু শ্রীলংকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এসব ধারণা সঠিক নয়। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরো জানিয়েছে, গত দুই বছরে আন্তর্জাতিক সার্বভৌম বন্ড বাবদ যে ঋণ নেয়া হয়েছে সেখান থেকে আড়াই বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছে।

সর্বশেষ জানুয়ারি মাসে পাঁচশ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে শ্রীলংকা। ফলে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়েছে। যে কারণে দেশটি জ্বালানী তেল এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে পারছে না।

২০১১ সালে সেপ্টেম্বর মাসে শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে দেশটিতে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা জারী করেছেন। এর ফলে মৌলিক খাদ্যপণ্যের সরবরাহ এখন সরকার নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। দেশটিতে মূল্যস্ফীতি এখন প্রায় ১৫ শতাংশ।

আরও পড়ুন: করোনায় মৃত মুসলিমদের লাশ পুড়িয়ে ফেলছে শ্রীলংকা, তোলপাড়!

গত জানুয়ারি মাসে শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে ঋণ পরিশোধের বিষয়টি সমন্বয় করার জন্য চীনের কাছে অনুরোধ করেছেন।

কর কমানো

দুই হাজার উনিশ সালের নভেম্বর মাসে ক্ষমতাসীন হবার পরে শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট দেশটিতে ভ্যাট এবং ট্যাক্স কমানোর সিদ্ধান্ত নেন। এ ধরণের পদক্ষেপে অনেক বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন।ভ্যাট প্রদানের হার ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আট শতাংশে আনা হয়। ভ্যাট-ট্যাক্স কমানোর মূল কারণ ছিল অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করা।

দুই হাজার নয় সালে শ্রীলংকায় গৃহযুদ্ধ শেষ হবার পরে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে (বর্তমান প্রেসিডেন্টের ভাই) একই ধরণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এর ফলে তখন যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অর্থনীতিতে গতি এসেছিল। সে আলোকেই বর্তমান প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসেও একই পদক্ষেপ নেন। কিন্তু এর কয়েকমাসের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হয়।

কলম্বো বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক শ্রিমাল আবিরত্নে বিবিসি বাংলাকে বলেন, আয়কর এবং ভ্যাট কমানোর ফলে সরকারের রাজস্ব আয় ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। ফলে সরকার আরো ঋণ নিতে বাধ্য হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।

শ্রীলংকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র ডেপুটি গভর্ণর বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, "ট্যাক্স কমানোর বিষয়টি ছিল একটি বড় ভুল।"

ট্যাক্স কমানোর ফলে সরকারের আয় কমে যায়। আবার করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্যদিকে সরকারকে ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতাও মেনে চলতে হয়। সবমিলিয়ে প্রচন্ড চাপ তৈরি হয় অর্থনীতির উপর।

পর্যটন ও রেমিট্যান্স খাতের বিপর্যয়

শ্রীলংকায় বৈদেশিক মুদ্রার বড় জোগান আসে দেশটির পর্যটন খাত থেকে। করোনাভাইরাস মাহারির কারণে প্রায় দুই বছর পর্যটন শিল্পে কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকায় চরম সংকটে পড়েছে দেশটি।

মহামারি শুরুর আগে শ্রীলংকায় সবচেয়ে বেশি পর্যটক আসতো চীন থেকে। কিন্তু চীনে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ কঠোর থাকায় চীন থেকে পর্যটক আসতে পারেনি। এর ফলে দেশটির পর্যটন খাতে বিপর্যয় নেমে আসে।

দেশটিতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের আরেকটি বড় জায়গা হচ্ছে বিভিন্ন দেশে কর্মরত শ্রীলংকার নাগরিকদের পাঠনো ডলার। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির সময় সেটি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

অধ্যাপক শ্রিমাল আবিরত্নে বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির আগে পর্যটন এবং রেমিটেন্স থেকে শ্রীলংকার ১২ বিলিয়ন ডলার আয় করতো।

অর্গানিক চাষে বিপর্যয়

দুই হাজার উনিশ সালে ক্ষমতাসীন হবার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে দেশে অর্গানিক কৃষি চালু করেন। সেজন্য কৃষিক্ষেত্রে রাসায়নিক সার এবং কীটনাশক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। এর অংশ হিসেবে শ্রীলংকায় সার আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়।

এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল কৃষিক্ষেত্রে। এতে চালের উৎপাদন ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। একসময় চাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ শ্রীলংকা বাধ্য হয় ৪৫০মিলিয়ন ডলারের চাল আমদানি করতে। চালের দাম হু হু করে বাড়তে থাকে। অর্গানিক কৃষির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল দেশটির চা উৎপাদনের ক্ষেত্রে। চা রপ্তানি করে শ্রীলংকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। সেখানেও বড় ধাক্কা লাগে।

কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে আনার জন্য সরকার ২০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়। দেশজুড়ে একই সাথে খাদ্যঘাটতিও প্রকট আকার ধারণ করে। অধ্যাপক আবিরত্নে বলেন, অর্গানিক কৃষি চালু করার আগে বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা করা হয়নি। এতে উল্টো ফল হয়েছে।

তিনি বলেন, উৎপাদন কমে যাওয়ায় গ্রামের কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে এবং খাদ্য আমদানি করার জন্য আরো বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে হয়েছে।

সংকট সামাল দেবার চেষ্টা

বর্তমান সংকট সামাল দিতে শ্রীলংকার প্রয়োজন বৈদেশিক মুদ্রা। সেজন্য অনেকের দ্বারস্থ হচ্ছে দেশটি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ-এর সাথে আলোচনা করছে দেশটি। আইএমএফ-এর কাছ থেকে ঋণ পেতে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত মুদ্রার অবমূল্যায়ন করেছে দেশটি। বর্তমানে মার্কিন এক ডলারের বিপরীতে শ্রীলংকার ২৩০ রূপি।

এছাড়া চীন ও ভারতের কাছে আরো ঋণের আবেদন করেছে শ্রীলংকা। জরুরি কিছু খাদ্য, ঔষধ এবং জ্বালানী কেনার জন্য গত সপ্তাহে ভারত শ্রীলংকাকে এক বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে। যেভাবে শ্রীলংকার উপর ঋণের স্তুপ হয়েছে, সেখান থেকে সহসা দেশটি বেরিয়ে আসতে পারবে না বলে মনে করছেন দেশটির পর্যবেক্ষকরা।

দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসেব অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ পর্যন্ত শ্রীলংকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আছে মাত্র আড়াই বিলিয়ন ডলারের কম। গত দশ বছরের মধ্যে এটি সর্বনিম্ন।

অর্থনীতিবিদ শ্রিমাল আবিরত্নে বলেন, মধ্যম এবং দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপের মাধ্যমে বর্তমান সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে পারে শ্রীলংকা। এজন্য দেশটির রপ্তানি বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, রপ্তানি বাড়াতে হলে পণ্যের বৈচিত্র্য আনা দরকার। এজন্য প্রয়োজন বৈদেশিক বিনিয়োগ। কারণ শ্রীলংকার ব্যবসা ছোট এবং তাদের পক্ষে বেশি অর্থ বিনিয়োগ করা সম্ভব নয়।

এছাড়া মধ্যমেয়াদে দেশটির রাজস্ব ও বাজেট ব্যবস্থাপনা ভালো করার পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় খাতে ব্যয় কমাতে হবে বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক আবিরত্নে। [সূত্র: বিবিসি বাংলা]


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence