ভারতের রাফাল যুদ্ধ বিমানকে টেক্কা দিতে পাকিস্তানের জে-১০ সি যুদ্ধবিমান

 জে-১০ সি যুদ্ধবিমান পর্যবেক্ষণ করছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
জে-১০ সি যুদ্ধবিমান পর্যবেক্ষণ করছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।  © সংগৃহীত

ভারতের রাফাল যুদ্ধ বিমানকে টেক্কা দিতে পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে হাতে পেল চীন থেকে কেনা জে-১০ সি যুদ্ধবিমান।

শুক্রবার (১১ মার্চ) দীর্ঘদিনের মিত্র চীন থেকে ক্রয় করা এ যুদ্ধবিমানগুলো দেশটির বিমানবাহিনীতে আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।  খবর ভয়েস আমেরিকার।

এ উপলক্ষে পাঞ্জাব প্রদেশে অবস্থিত বিমানবাহিনীর (পিএএফ) কামরা  বিমানঘাঁটিতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

আরও পড়ুন: শৌচাগার সংকট, কম পানি খেয়ে ক্লাসে আসেন অনেক ছাত্রী

প্রধান অতিথির দেওয়া বক্তব্যে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান জানান, ‘দুর্ভাগ্যবশত, এই অঞ্চলে ভারসাম্যহীনতা তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটি মোকাবেলা করার জন্য আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আজ একটি বড় সংযোজন করা হচ্ছে। ’ 

তার এই বক্তব্য ফ্রান্স থেকে কেনা ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমানের প্রতি স্পষ্ট ইঙ্গিত বলে মনে করছেন দেশটির সামরিক বিশ্লেষকরা।

যুদ্ধ বিমান অন্তর্ভুক্তির বিষয়টিকে ইমরান খান পাকিস্তানের জন্য একটি বড় ঘটনা হিসাবে বর্ণনা করেছেন। যদিও এর আগে অর্থাৎ আশির দশকে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান এফ-১৬ পাকিস্তান বিমান বাহিনীর জন্য ক্রয় করা হয়েছিল। 

সাধারণত আধুনিক যুদ্ধবিমানগুলো পেতে অনেক সময় কয়েক বছর লেগে যায়। কিন্তু এমন রীতি ভেঙ্গে খুব অল্প সময়ের মধ্যে অর্থাৎ মাত্র আট মাসের মধ্যে যুদ্ধবিমানগুলো সরবরাহ করার জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান ইমরান খান।

আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আসার পর ডাকসু নির্বাচন থেমে গেল: সিরাজুল ইসলাম

এদিকে, যেকোনো দেশ পাকিস্তানের প্রতি আগ্রাসী মনোভাব পোষণের আগে দুইবার ভাববে বলে প্রতিবেশি দেশ ভারতের প্রতি ইঙ্গিত করেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান।

ভয়েস অব আমেরিকার খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তান বিমান বাহিনী রাফালের জবাবে চীনের জে এস ১০ (জে-১০ সি) বিমান উড্ডয়ন করতে যাচ্ছে। ২০০৫ সাল থেকে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ার ফোর্স এই যুদ্ধবিমানগুলো ব্যবহার করছে।

পাকিস্তান বিমানবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল বাবর ইফতিখার জানান, এটি আমাদের বিমানবাহিনীর সমরাস্ত্র বহরকে আরও যুগোপোযুগি এবং আধুনিকায়ন করার ক্ষেত্রে একটি পদক্ষেপ।  কারণ আমরা জানি অপর পাশে কী ধরনের প্রযুক্তি যুক্ত হচ্ছে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ মাতাবেন এ আর রহমান

কিন্তু ঠিক কত সংখ্যক যুদ্ধবিমান দেশটির বিমানবাহিনীর বহরে যুক্ত হচ্ছে সে ব্যাপারে পরিষ্কার কিছু জানা যায়নি। এ ব্যাপারে মেজর ইফতিখারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

প্রসঙ্গত, জে-১০ সি বিমানটি গত বছর পাক-চীন যৌথ মহড়ার অংশ ছিল। সেখানে পাকিস্তানের বিশেষজ্ঞরা যুদ্ধবিমানগুলিকে ঘনিষ্ঠভাবে দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। ওই ঘটনার ঠিক বছর না পেরোতেই পাকিস্তান তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ চীনের নিকট থেকে জে-১০ সি যুদ্ধবিমান ক্রয় করলো। চীন থেকে কেনা নতুন যুদ্ধবিমানগুলো পাকিস্তানের বিমান বাহিনীতে সংযুক্তির মধ্য দিয়ে প্রতিবেশি দেশ দুটির সামরিক ভারসাম্য ফিরবে বলে মনে করছেন আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।


সর্বশেষ সংবাদ