কাল আবার বাকের ভাইয়ের ‘ফাঁসি’

  © ডয়েচে ভেলে

নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) প্রচারিত হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিক নাটকের একটি চরিত্র বাকের ভাই। আর তার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছিল বদি। শেষ পর্বে বাকের ভাইয়ের ফাঁসি হবে, এই খবর জানাজানি হলে সারা দেশে প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল।

মনে আছে, তখন পত্রিকায় গুরুত্ব দিয়ে সেসব বিক্ষোভের খবর বেরিয়েছিল। হুমায়ূন আহমেদকে তাঁর সিদ্ধান্ত বদলের আহ্বানও জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা করবেন না বললে তাঁকে হুমকিও দেয়া হয়। পরে নিজের নিরাপত্তায় পুলিশের সহায়তা নিতে হয়েছিল হুমায়ূন আহমেদকে।

এরপর যখন বাকের ভাইয়ের ফাঁসি হয় তখন দেশের বিভিন্ন স্থানে কুলখানিও হয়েছে। সেই খবরও সংবাদপত্রে পড়েছি। সবকিছু ঠিক থাকলে কাল বৃহস্পতিবার আবারও বিটিভিতে ‘কোথাও কেউ নেই’ এর শেষ পর্বটি প্রচারিত হবে। করোনার কারণে ঘরে বসে থাকা মানুষের একঘেয়েমি কাটাতে ৬ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন রাত সাড়ে আটটায় ‘কোথাও কেউ নেই’ দেখাচ্ছে বিটিভি।

এর সঙ্গে হুমায়ূন আহমেদের লেখা আরেক ধারাবাহিক ‘বহুব্রীহি’-ও দেখানো হয়েছে। সেটির প্রচার শেষ হওয়ার পর এখন চলছে একই লেখকের লেখা আরেক জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘এইসব দিনরাত্রি’৷ এই নাটকটি শেষ হয়েছিল টুনি নামের ছোট্ট এক মেয়ের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। সে লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত ছিল। আবেগী বাঙালি সেই মেয়েটিকে বাঁচাতেও হুমায়ূন আহমেদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছিল।

করোনার কারণে পুরনো জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটকগুলো দেখানোর বিটিভির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী। এসব দেখে তাদের অনেকে নস্টালজিয়ায় ভুগছেন। কারও মনে পড়ে যাচ্ছে এসব নাটক দেখার সময়কার বিভিন্ন স্মৃতি। এ যেন এক ধাক্কায় ত্রিশ বছর আগে ফিরে যাওয়া!

নব্বইয়ের দশকের কিশোর-কিশোরীদের কাছে আসাদুজ্জামান নূর এখনও বাকের ভাই। সুবর্ণা মুস্তাফা এখনও মুনা আপা। পুরনো নাটকগুলো দেখতে গিয়ে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের একটা কথা মনে পড়ছে।

সম্ভবত তিনিই কোনো একসময় বলেছিলেন, তাঁরা যখন লেখাপড়া করেছেন তখন স্কুল ঘরগুলো ছিল কাঁচা, কিন্তু বেশিরভাগ শিক্ষকই ছিলেন পাকা। আর এখন স্কুল ঘরগুলোর বেশিরভাগই হয়েছে পাকা, কিন্তু এখন শিক্ষকেরা কাঁচা।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে বাংলা


সর্বশেষ সংবাদ