ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু পিটিআইয়ের
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৫, ১০:২২ PM , আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৫, ১১:২৮ AM
পাকিস্তানে সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু করেছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। রাজনৈতিক দলটির প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী এ আন্দোলন করা হচ্ছে। গতকাল শনিবার লাহোর শহর থেকে আন্দোলন শুরুর ঘোষণা দেন খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপুর।
লাহোরের রাইউইন্দ এলাকায় দলের নেতাদের একটি বৈঠকে গান্দাপুর বলেন, এই আন্দোলনকে কীভাবে ৫ আগস্ট চূড়ান্ত রূপ দেওয়া যায়, এ বিষয়ে পিটিআইকে চিন্তাভাবনা করতে হবে। গান্দাপুরের এই বক্তব্যের আগে ৫ আগস্ট আন্দোলনকে চরম পর্যায়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন কারাবন্দী ইমরান খান। এদিন তাঁর কারাগারে থাকার দুই বছর পূরণ হবে।
কয়েক দিন আগে ইমরানের বোন আলেমা খান ঘোষণা দিয়েছিলেন যে কারাগার থেকেই এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবেন পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা। আন্দোলনের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানে তাঁদের পরিবার। তবে পরিকল্পনার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি আলেমা খান। তিনি বলেন, এ বিষয়ে যথাসময়ে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হবে।
ইমরান খানের পুরো পরিবার এই আন্দোলনে যোগ দেবে বলেও জানান আলেমা খান। তাঁর ভাষ্যমতে, ইমরান বলেছেন যে দলের যেসব নেতা রাজনৈতিক এই আন্দোলনের ‘বোঝা’ বইতে পারবেন না, তা যেন দল থেকে সরে দাঁড়ান। আর পিটিআইয়ের মুখপাত্র শেষ ওয়াকাস আকরাম বলেছেন, প্রথম ধাপে প্রদেশ ও জেলাগুলোয় বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে।
পিটিআইয়ের আন্দোলনের সময় অস্ত্র বহন করবেন বলে জানিয়েছেন খাইবার পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী গান্দাপুর। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওয়াকাস আকরাম বলেন, তিনি ‘আত্মরক্ষার’ খাতিরে এ কথা বলেছেন। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, সবারই আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হয় ইমরান সরকার। এর পর থেকে দলটি একের পর এক বিক্ষোভ করে আসছে। নানা অভিযোগে ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন ইমরান খান।
নির্বাচনের দাবি কারাবন্দী নেতাদের
পাকিস্তানের নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি করেছেন পিটিআইয়ের কারাবন্দী পাঁচজন নেতা। শনিবার এ দাবির কথা উল্লেখ করে একটি খোলা চিঠি লেখেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কুরেশি, সিনেটর এজাজ চৌধুরী, সাবেক গভর্নর ওমর শরফরাজ চিমা, ইয়াসমিন রশিদ ও মিয়াঁ মাহমুদুর রশিদ।
চিঠিতে এই নেতারা লেখেন, ১৯৭০ সালের বিপর্যয় থেকে শিক্ষা নিতে হবে। না হলে ভারত তাদের নীলনকশা নিয়ে এগিয়ে যাবে। চিঠিতে তাঁরা খাইবার পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং কাবুল-করাচি সম্পর্কসহ নানা বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।