৫ হাজার কেন্দ্রে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা, একটি থেকেই ৬ শিক্ষার্থী প্রথম
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৪, ০১:১৩ PM , আপডেট: ০৮ জুন ২০২৪, ০১:১৯ PM
সর্বভারতীয় মেডিকেল প্রবেশিকা (নীট-ইউজি) পরীক্ষার দিন থেকেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ছিল। ফল প্রকাশের পর সে অভিযোগ আরও জোরালো হয়েছে। সেই সঙ্গে নীটে যেভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে, তা কোনওভাবে সম্ভব নয় বলে দাবি করা হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, নীটের ফল বিতর্কে এনটিএয়ের যুক্তিতেও আশ্বস্ত হলেন না প্রার্থী ও শিক্ষকদের একাংশ। বরং সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকার ফলাফল নিয়ে আয়োজক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ) যে যুক্তি দিয়েছে, তার কোনও ভিত্তি নেই বলে দাবি করেছেন তাঁরা। আয়োজক সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেছে।
শিক্ষক ও প্রার্থীদের একাংশ নীটের রেজাল্টের আরও একটি বিষয় নিয়ে সরব হয়েছেন। নিটের যে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে ৬২ নম্বর থেকে ৬৭ নম্বরের মধ্যে থাকা পড়ুয়াদের নাম চিহ্নিত করে অভিযোগ করা হয়েছে, হরিয়ানার একটি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকেই ছয়জন প্রথম স্থান অধিকারী হয়েছেন। তাঁদের রোল নম্বরের বড় অংশ একই। এতে সামান্য হেরফের আছে। অথচ প্রায় পাঁচ হাজার কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, এ ঘটনা থেকেই ইঙ্গিত মিলছে, নীটের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল। অনেকেই বলেছেন, নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখতে পুনর্মূল্যায়ন করা উচিত এনটিএয়ের। নীটের মতো পরীক্ষা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হলে সেটা মোটেও ভালো বার্তা যাবে না। যদিও প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি আগেই খারিজ করে দিয়েছিল এনটিএ।
আরো পড়ুন: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী ২৫ লাখ, প্রথম হলেন ৬৭ জন
এ পরিস্থিতিতে বিষয়টিতে জাতীয় মেডিকেল কমিশন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপের দাবি তোলা হয়েছে। তবে অনেকে সরাসরি অভিযোগ করেছেন, নীটের প্রশ্নপত্র যে ফাঁস হয়েছিল, সেটি পুরোপুরি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
এবার সর্বভারতীয় মেডিকেল প্রবেশিকায় ৬৭ জন প্রার্থী এক নম্বর স্থান (৭২০ নম্বরের মধ্যে ৭২০ নম্বর পেয়েছেন) অধিকার করেছেন। কীভাবে এতজন পরীক্ষার্থী প্রথম হতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সংশ্লিষ্টরা। কারণ যে ধাঁচে নীট পরীক্ষা হয়, তাতে এত নম্বর তোলা সম্ভব নয় বলে দাবি তাদের।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, পরীক্ষায় ভারতীয় বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে ৪ হাজার ৭৫০টি কেন্দ্রে প্রায় ২৫ লাখ ছাত্র-ছাত্রী অংশ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে ১৩ লাখ ১৬ হাজার শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। নীটের আয়োজক সংস্থা জানিয়েছে, ৯৯.৯৯৭১২৯ শতাংশ পার্সেন্টাইল পেয়ে দেশে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন ৬৭ জন।