ইরানের পাল্টা হামলার শঙ্কায় মধ্যপ্রাচ্য ঘিরে সতর্কতা
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২১ AM , আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৫ AM
সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধে তেহরানের হুমকি ঘিরে উত্তেজনা বাড়ছে মধ্যপ্রাচ্যে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) জার্মান বেসামরিক এয়ারলাইন লুফথানসা তেহরানে ফ্লাইট স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।
সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলি হামলার পাল্টায় ইরান হামলা চালাতে পারে—এমন শঙ্কা থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে লুফথানসা।
ইরানের একটি বার্তা সংস্থা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জানায়, সামরিক মহড়ার জন্য তেহরানের আকাশসীমা বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু পরে ওই বার্তা সরিয়ে ফেলে এবং এমন প্রতিবেদন প্রকাশের কথা অস্বীকার করে বার্তা সংস্থাটি।
১ এপ্রিল থেকে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ সতর্কতামূলক অবস্থান নিয়েছে। ওই দিন সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাস প্রাঙ্গণে সন্দেহভাজন ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইরানের সাত সামরিক উপদেষ্টা নিহত হন। এই ঘটনায় প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে তেহরান।
গাজায় ছয় মাসের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে বলে নিশ্চিত করেনি। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ইসরায়েল এই হামলা চালিয়েছে।
লুফথানসা বৃহস্পতিবার বলেছে, ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত তেহরানের সব ফ্লাইট স্থগিত করেছে তারা। এর মধ্য দিয়ে ফ্লাইট স্থগিতের সময় দুই দিন বাড়িয়েছে তারা। লুফথানসার একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, উড়োজাহাজের ক্রুদের যাতে তেহরানে রাতযাপনের জন্য অবতরণ করতে না হয়, সে জন্য গেল সপ্তাহান্ত থেকে ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে তেহরানে ফ্লাইট না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
পশ্চিমা বিমান সংস্থাগুলোর মধ্যে শুধু লুফথানসা ও এর সহযোগী বিমান পরিবহন সংস্থা অস্ট্রিয়ান এয়ারলাইনসই তেহরানে ফ্লাইট পরিচালনা করে। টার্কিশ এয়ারলাইনস ও মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোই সাধারণত সেখানে যাত্রী পরিবহন করে।
লুফথানসার মালিকানাধীন অস্ট্রিয়ান এয়ারলাইনস সপ্তাহে ছয়বার ভিয়েনা থেকে তেহরানে যাত্রী পরিবহন করে। সংস্থাটি বলেছে, তারা এখনো বৃহস্পতিবার তেহরানে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করছে। তবে রাতে তেহরানে অবস্থান এড়ানোর চেষ্টা করছে।
তেহরানে ফ্লাইট পরিচালনা করা অন্যান্য বিমান পরিবহন সংস্থার বক্তব্য জানা যায়নি। এমিরেটস ও কাতার এয়ারওয়েজের উত্তর আমেরিকার ফ্লাইটের জন্যও ইরানের আকাশসীমা গুরুত্বপূর্ণ।
এর আগে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই শাস্তি দেওয়া হবে। আর তা হবে তাদের হামলার জন্য, যে হামলায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) সাতজন সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে আইআরজিসির বিদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী ইউনিট কুদস ফোর্সের একজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রয়েছেন। [রয়টার্স]