সম্মিলিত সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী আন্দোলনে ভূমিকা নিতে সম্মিলিতভাবে ব্যর্থ: ঢাবি অধ্যাপক
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৪, ১১:৫২ AM , আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০২৪, ১১:৫৬ AM
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে এর বিরুদ্ধে কাজ করে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান মামুন। এসময় ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী সম্মিলিতভাবে ব্যর্থ বলে মন্তব্য করেন।
আজ শুক্রবার ( ১৬ আগষ্ট ) এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি আন্দোলনে সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর বিভিন্ন মূল্যায়ন তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, এইবারের student-inspired জনঅভ্যূথানের বিশেষত্ব হলো কিছু সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব তাদের ট্র্যাডিশনাল অবস্থানের বাহিরে এসে আন্দলোনে যোগ দিয়েছে। এদের মধ্যে অন্যতম আমার প্রিয় রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী অদিতি মহসিন এবং চলচিত্র পরিচালক অমিতাভ রেজা চৌধুরী আরও অনেক শিল্পী ও অভিনেতা আছেন। এর বাহিরে যারা আগে থেকেই রাজনীতি করতো তারাতো বাহির হয়েছেই তাদের কথা আমি বলতে চাই না। আমি বলছি দলনিরপেক্ষ মানুষ। যারা মৃত্যুর মিছিল দেখে আন্দোলনে নেমেছে।
তিনি আরো বলেন, এইবারের আন্দোলনের আরেকটি আবিষ্কার হলো বাংলাদেশের RAP সংগীতের অসাধারণ ভূমিকা। এই গানও যে গণ সংগীতের মত অত্যন্ত পাওয়ারফুল হতে পারে তা দেখিয়ে দিয়েছে Rapper Hannan! তার গান এতটাই পাওয়ারফুল ছিল স্বৈরাচারী সরকার গানকে ভয় পেয়ে তাকে জেলে ঢুকিয়েছে। আর এই প্রজন্মের সবচেয়ে বড় পাওয়া হলো ফারজানা ওয়াহিদ সায়ানকে। এত মানবিক, এত শক্তিশালী প্রতিবাদী শিল্পী বাংলাদেশ এর আগে কখনো দেখেনি।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী স্বার্থপর উল্লেখ করে তিনি বলেন, বড় দুঃখের ব্যাপার হলো আমাদের সম্মিলিত সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী। এরা যে কতটা স্বার্থপর তা বারবার প্রমান করেছে। এরা সবাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে কাজ করে। এত দলান্ধ ও অমানবিক মানুষ কিভাবে শিল্পী হয় আমি বুঝি না। শুধু এই আন্দোলনেই না। তারা বহু আগে থেকেই পচে আছে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী সম্মিলিতভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এই আন্দলোন যখন একটু মোমেন্টাম পেয়েছিল তখন একবার মোমবাতি প্রজ্জলন করে মনে হচ্ছিল তারাও প্রতিবাদী হচ্ছে। কিন্তু না। তারা আবার গর্তে ঢুকে যায়। আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে দেখেছি লিয়াকত আলী লাকিকে। সে ছিল ডাকসুর সাংস্কৃতিক সম্পাদক। এই লোকটা আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর পরই শিল্পকলা একাডেমীর দায়িত্ব পায়। এরপর শুনি সে আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিল। এদের জীবন ভাগাড়ে কীটের জীবনসম। ধিক জানাই তাদের।