মাধ্যমিক বিদ্যালয়

৮ম শ্রেণির ৬৭ শতাংশ বই প্রস্তুত হয়নি, প্রাথমিকের শতভাগ সরবরাহ

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের লোগো
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের লোগো  © সংগৃহীত

নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর আর এক সপ্তাহ বাকি থাকলেও মাধ্যমিক স্তরের প্রায় ৬৭ শতাংশ পাঠ্যবই এখনো সরবরাহ করতে পারেনি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এতে নতুন বছরের শুরুতে মাধ্যমিকের সব শিক্ষার্থীর হাতে সব পাঠ্যবই পৌঁছাবে কি না—সে নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে প্রাথমিকের শতভাগ বই সরবরাহ সম্পন্ন হয়েছে।

আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) এনসিটিবির বিতরণ নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মতিউর রহমান খান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে পাঠানো এক তথ্যে চিত্রে এ তথ্য জানা যায়।

এনসিটিবির সূত্র জানায়, আগামী বছর বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য প্রাথমিক স্তরে মোট ৮ কোটি ৫৯ লাখের বেশি এবং মাধ্যমিক স্তরে ২১ কোটি ৪৩ লাখের বেশি কপি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। বিদায়ী বছরের তুলনায় এবার পাঠ্যবইয়ের সংখ্যা কিছুটা কম। ফলে নতুন বছরের শুরুতেই প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই পৌঁছানো নিশ্চিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: দুই শ্রেণির বই ছাপার চুক্তিই হয়নি, জানুয়ারিতে নতুন বই পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা

তবে মাধ্যমিক স্তরের সরবরাহের ক্ষেত্রে শ্রেণিভেদে ছবিটা ভিন্ন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নবম শ্রেণির বই সরবরাহে অগ্রগতি তুলনামূলকভাবে ভালো থাকলেও সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতে গতি বেশ ধীর।

নবম শ্রেণিতে মোট ৫ কোটি ৭০ লাখ ৬৮ হাজার ২৮টি বইয়ের মধ্যে সরবরাহ সম্পন্ন হয়েছে ৬৮.১৪ শতাংশ। ষষ্ঠ শ্রেণিতে বরাদ্দকৃত ৪ কোটি ৪৩ লাখ ১৭ হাজার ৫০৯টি বইয়ের মধ্যে ৬৬.৩৫ শতাংশ বই পৌঁছালেও সপ্তম শ্রেণিতে সরবরাহের হার মাত্র ৩১.০৩ শতাংশ। সবচেয়ে পিছিয়ে আছে অষ্টম শ্রেণি; এখানে ৪ কোটি ২ লাখের বেশি বইয়ের বিপরীতে এখন পর্যন্ত মাত্র ৯.৮৬ শতাংশ বই সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।

ইবতেদায়ি ও কারিগরি অংশের সরবরাহেও ব্যবধান রয়েছে। ইবতেদায়ি স্তরের জন্য বরাদ্দকৃত ৩ কোটি ১১ লাখ ১৯ হাজার ৩৪৭টি বইয়ের মধ্যে সরবরাহ হয়েছে ৯৩.২৭ শতাংশ। তবে মুদ্রণ ও বাঁধাইয়ের কাজ প্রায় ৯৪.৬৯ শতাংশের কাছাকাছি সম্পন্ন হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!