বাংলা একাডেমির সাবেক পরিচালক ফরহাদ খান মারা গেছেন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২১, ০৬:২৩ PM , আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২১, ০৬:২৩ PM
বাংলা একাডেমির সাবেক পরিচালক ফরহাদ খান আর নেই। ক্যান্সারের অসুস্থতার মধ্যেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শুক্রবার (০১ অক্টোবর) ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বাংলা একাডেমির জনসংযোগ কর্মকর্তা পিয়াস মজিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন তিনি। তার স্ত্রী গত হয়েছেন আগেই।
বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা কাজী জাহিদুল হক জানান, বেশ কিছুদিন ধরে তিনি ক্যান্সারে ভুগছিলেন ফরহাদ খান। এর মধ্যেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়লে গত সপ্তাহে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে বাঁচাতে পারেননি।
সকাল সাড়ে ১০টায় জানাজা শেষে মিরপুর ১১ নম্বরের জান্নাতুল মাওয়া কবরস্থানে ফরহাদ খানকে দাফন করা হয়। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদাও জানাজায় উপস্থিত ছিলেন বলে পিয়াস মজিদ জানান।
১৯৪৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা গ্রামে ফরহাদ খানের জন্ম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে বাংলায় লেখাপড়া করে ১৯৭০ সালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী কলেজে তার কর্মজীবন শুরু।
১৯৭৩ সালে বাংলা একাডেমিতে যোগ দেওয়ার পর ভাষা-সাহিত্য, সংস্কৃতি ও পত্রিকা বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন ফরহাদ খান। ২০০২ সালে তিনি পরিচালক হিসেবে অবসরে যান।
ফরহাদ খানের কর্মজীবনের একটি অংশ কেটেছে বেতারের সঙ্গে। ১৯৬৫ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত বেতারে সংবাদ অনুবাদ ও পাঠক হিসেবে তিনি কাজ করেন। ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বেতারের উত্তরণ ও সংবাদ বিচিত্রার সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন। পরে জার্মানির ডয়েচে ভেলের বেতার বিভাগেও তিন বছর কাজ করেছেন।
পাশাপাশি টেলিভিশনে ভাষা নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন ফরহাদ খান। বাংলাদেশ টেলিভিশনে তিনি ‘মোদের গরব মোদের আশা’, ‘আহমান বাংলা’ এবং ‘মাতৃভাষা’ নামে কয়েকটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করেছেন।
ফরহাদ খানের প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে প্রতীচ্য পুরাণ, বাংলা শব্দের উৎস অভিধান, চিত্র ও বিচিত্র, হারিয়ে যাওয়া হরফের কাহিনী, শব্দের চালচিত্র, নীল বিদ্রোহ, বাঙালির বিবিধ বিলাস। বাংলা একাডেমি ছোটদের অভিধানসহ কয়েকটি বইয়ের সম্পাদনার কাজেও তিনি যুক্ত ছিলেন।