মিয়ানমারে স্কুল শিক্ষক ছিলেন মুহিবুল্লাহ

সমাবেশে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ
সমাবেশে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ  © সংগৃহীত

রোহিঙ্গাদের পক্ষে বিশ্ব দরবারে সবচেয়ে বেশি লড়াই করা ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন মুহিবুল্লাহ। নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) নামে রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায়ে প্রতিষ্ঠিত একটি সংগঠনের। মিয়ানমারের একটি স্কুলের শিক্ষকও ছিলেন এই রোহিঙ্গা নেতা।

২০১৯ সালের ১৭ই জুলাই হোয়াইট হাইজে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে দেখা করে বিশ্বকে চমকে দিয়ে আলোচনায় আসেন রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ। সে সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় আরাকানে ফিরে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এর আগে জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অধিবেশনে যোগ দিয়েও রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায়ে বিশ্ববাসীর নজর কাড়েন তিনি।

২০১৯ সালের শেষের দিকে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের ফুটবল মাঠে কয়েক লাখ রোহিঙ্গার সমাবেশ ঘটান মুহিবুল্লাহ— রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে নাগরিকত্ব প্রদান এবং বসতভিটা ফেরতসহ ৭দফা দাবিও পেশ করেন। তিনি সেদিন দাবি আদায় না হলে মিয়ানমারে ফিরে যাবেন না বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। মুুহিবুল্লাহ আরাকানে থাকাকালীন একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন বলে রোহিঙ্গারা তাকে মাস্টার মুহিবুল্লাহ নামে ডাকত।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মুহিবুল্লাহ
ছবি:সংগ্রহীত

বুধবার রাত আটটার দিকে উখিয়ার লাম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এআরএসপিএইচের কার্যালয়ে বসে গল্প করছিলেন মুহিবুল্লাহ। এ সময় দূর্বৃত্তরা এসে তাকে ৫টি গুলি করে পালিয়ে যায়। মুহিবুল্লাহর বুকে তিনটি গুলি লাগে। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায়ে সব ধরণের অহিংস পন্থা অবলম্বন করেছিলেন মুহিবুল্লাহ। তবে রোহিঙ্গাদের একটি গ্রুপই মুহিবুল্লাহকে হত্যা করেছে এমন অভিযোগ উঠেছে। তবে কেন হত্যা করা হল শান্তিকামী এ নেতাকে?

জানা যায়, আল-ইয়াকিন নামের রোহিঙ্গাদেরই একটি গ্রুপ আরাকানে ফিরে যাওয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। আর ‘আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস’ নেতা মুহিবুল্লাহ নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে ছিলেন শক্ত অবস্থানে; যদিও তিনি কিছু শর্ত ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। সে কারণেই আল-ইয়াকিনের সন্ত্রাসীরা মুহিবুল্লাহকে হত্যা করেছে— এমন ধারণা করা হচ্ছে।

মুহিবুল্লাহকে হত্যার এটি-ই একমাত্র কারণ- এমনটি বলা মুশকিল। তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হলে বিস্তারিত জানা যাবে। তবে, নিজ জাতির বিপদের সময়ে পাশে দাঁড়ানো নেতাকে হত্যা করে রোহিঙ্গাদের হয়তো কয়েক যুগ পিঁছিয়ে দেওয়া হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence