শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আন্দোলনে ‘ন্যাক্কারজনক’ হামলা হয়েছে

পুলিশের সামনেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। তারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মারধর করে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলার ঘটনায় অনেকেই আহত হয়েছেন
পুলিশের সামনেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। তারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মারধর করে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলার ঘটনায় অনেকেই আহত হয়েছেন  © সংগৃহীত

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে রাজশাহীতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকে ‘ন্যাক্কারজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (০২ সেপ্টেম্বর) ‘অবিলম্বে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন’ আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মশিউর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এসব কথা বলেছেন।

মশিউর বলেন, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় রাজশাহীর সকল শিক্ষার্থীরা জিরো পয়েন্ট চত্বরে একত্রিত হতে থাকে। আন্দোলনের প্রস্তুতির প্রথম পর্যায়েই তারা পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন। পরবর্তীতে কর্মসূচীর এক পর্যায়ে ছাত্রলীগকর্মীরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। এতে অনেক শিক্ষার্থী শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছে।

তিনি বলেন, যেখানে ইউনেস্কো-ইউনিসেফ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দ্রুত নির্দেশনা দিয়েছে সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আন্দোলনে এমন হামলা ছাত্র আন্দোলন ইতিহাসে একটি ‘ন্যাক্কারজনক’ ঘটনা।

‘অবিলম্বে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন’ আন্দোলনের পক্ষ থেকে এমন ঘৃন্য ও ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি এবং এমন ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের সকলকে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে মশিউর আরও বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের শিক্ষাজীবন এখন ধ্বংসের পথে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা বলতে গেলেও যেহেতু হামলার শিকার হতে হয় সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নেয়াই একমাত্র সমাধান।

এদিকে, রাজশাহীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আন্দোলনকারীরা।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে তারা বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলা পর্যন্ত আমাদের যৌক্তিক দাবিকে সামনে রেখে নানা কর্মসূচি চালিয়ে যাবো। তারই ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটায় জিরোপয়েন্টে শিক্ষক-নাগরিক সমাবেশ করবো।


সর্বশেষ সংবাদ