শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক সমাবেশ কাল
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২১, ০৬:৩০ PM , আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২১, ০৬:৩০ PM
করোনার কারণে ১৬ মাস ধরে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক সমাবেশের ডাক দিয়েছে শিক্ষা ও শিশু রক্ষা আন্দোলন-শিশির নামে একটি সংগঠন। আগামীকাল শনিবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এটি অনুষ্ঠিত হবে বলে সংগঠনটির ফেসবুক পেজের এক ঘোষণায় জানানো হয়েছে।
গত সোমবার (১২ জুলাই) ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর ও ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে অ্যাজুল এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, বিশ্বের ১৯টি দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। এর ফলে ১৫ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এটা চলতে পারে না। বন্ধের ক্ষেত্রে স্কুলগুলো সবার শেষে এবং পুনরায় খোলার ক্ষেত্রে সবার আগে থাকা উচিত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সংক্রমণ সীমিত পর্যায়ে রাখার প্রচেষ্টায় সরকারগুলো অনেক সময়ই স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে এবং দীর্ঘকাল ধরে সেগুলো বন্ধ রেখেছে, এমনকি মহামারিজনিত পরিস্থিতি যখন এটা দাবি করে না তখনও। প্রায়শই এই ব্যবস্থাগুলো শেষ পদক্ষেপ হিসেবে নেয়ার বদলে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে নেয়া হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে, স্কুলগুলো বন্ধ রাখা হলেও বার ও রেস্তোরাঁগুলো খোলা ছিল।
“স্কুলে যেতে না পারার কারণে শিশু এবং তরুণ জনগোষ্ঠী যে ক্ষতির সম্মুখীন হবে তা হয়তো কখনোই পুষিয়ে নেয়া যাবে না। শেখার ক্ষতি, মানসিক সংকট, সহিংসতা ও নির্যাতনের সম্মুখীন হওয়া থেকে শুরু করে স্কুল-ভিত্তিক খাবার ও টিকা না পাওয়া বা সামাজিক দক্ষতার বিকাশ কমে যাওয়া -শিশুদের ক্ষেত্রে তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি তাদের শিক্ষাগত অর্জন এবং সামাজিক সম্পৃক্ততায় এর প্রভাব পরিলক্ষিত হবে।”
শিক্ষা ও শিশু রক্ষা আন্দোলন-শিশির বলছে, বন্ধের ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সবার শেষে এবং খোলার ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সবার আগে— ইউনিসেফ ও ইউনেস্কো ঘোষিত এই নীতির ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও তারিখ ঘোষণা করতে হবে। পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের শিক্ষা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মানবসম্পদ ধ্বংস করে দেশকে দীর্ঘমেয়াদে পরনির্ভরশীল করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াতে হবে।
“সবকিছু খুলবে, বন্ধ হবে, আবার খুলবে— শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া! এভাবে চলতে পারেনা। আগামী ২৯ জুলাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ৫০০ দিন! সারাদেশের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক প্রস্তুতি নিন! অভিভাবক ফোরাম, শিক্ষক সমিতি, কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন, ছাত্র সংগঠন, সামাজিক সংগঠন, ব্যক্তি—যে যেখান থেকে যেভাবে সম্ভব আওয়াজ তুলুন! আমাদের শিক্ষা, সন্তান, জীবন রক্ষায় এগিয়ে আসুন! সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোন!”