বেত দিয়ে ছাত্রকে বেদম প্রহর করায় আটক হলেন মাদ্রাসা শিক্ষক
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২১, ০৯:০০ AM , আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২১, ০৯:০৮ AM
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার কুঠিরহাট দারুল উলুম মাদ্রাসার এক ছাত্রকে (১২) পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় ইসমাইল প্রকাশ নামে এক শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (৬ মার্চ) রাত সাড়ে নয়টার তাকে আটক করে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মা ফাতেমা আক্তার শারমিন বাদী হয়ে রাতেই শিশু নির্যাতন আইনে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, শুক্রবার (৫ মার্চ) বিকালে পড়া না পারার অজুহাতে মাদ্রাসার চতুর্থ জামাতের শিক্ষার্থী আসাদুল্লাহকে (১২) বেত দিয়ে বেদম মারধর করেন শিক্ষক ইসমাইল। পরে তাকে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে তিন ঘণ্টা আটকে রাখেন। পরে সন্ধ্যায় মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীর মাধ্যমে ছাত্রের অভিভাবকরা খবর পেয়ে ছাত্রের মামা সুমন ও স্থানীয় ইউপি সদস্য ওমর ফারুক এলাকাবাসীর সহযোগিতায় মাদ্রাসার অফিস কক্ষ থেকে ছাত্রটিকে উদ্ধার করে কুটিরহাট বাজারে নিয়ে আসেন।
স্থানীরা জানায়, এর আগেও ইসমাঈলের অমানুষিক মারধর সহ্য করতে না পেরে অনেক ছাত্র মাদ্রাসা ছেড়ে পালিয়েছে। এর জেরে পড়াশোনায় ভীতি সৃষ্টি হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থীকে পরে আর পড়াশোনায় ফেরানো যায়নি।
স্থানীয় মজলিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ হাসেম জানান, এর আগেও ইসমাঈলের মারধরের ঘটনায় কয়েকবার সালিশ হয়েছে। এ বিষয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা জুবায়ের হোসেন জানান, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনাটি একটি দূঃখজনক ঘটনা। শিক্ষকের অপরাধ প্রতিষ্ঠান বহন করবে না। যে অপরাধ করবে তাকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
এ ঘটনায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মা ফতেমা আক্তার শারমিন বাদী হয়ে রাতেই শিশু আইনে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসার বোডিং সুপার মাওলানা মো. ইসমাইলকে আটক করা হয়েছে।