‘পকেট কমিটি’ দাবি করে পদত্যাগ করলেন বিএনপি নেতা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:২৮ AM , আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৯ AM

আহ্বায়ক কমিটিকে ‘পকেট কমিটি’ দাবি করে পদত্যাগ করেছেন কমিটির তিন নম্বর সদস্য এবং বিলুপ্ত জেলা বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা। সম্প্রতি কয়েক জেলায় পুরাতন কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন করে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় মানিকগঞ্জে বিএনপির আগের কমিটি ভেঙে দিয়ে ৭ সদস্যের আহবায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) নিজ বাসভবনে দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন আতা। তিনি অভিযোগ করেন, নতুন কমিটিতে জ্যেষ্ঠ নেতাদের রাখা হয়নি। রাজনীতিতে অবদান নেই এমন ব্যক্তিদেরও কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আতা অভিযোগ করে বলেন, ‘বিলুপ্ত জেলা বিএনপির যিনি সভাপতি ছিলেন তিনিই এখন আহ্বায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। আবার যিনি সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি হয়েছেন আহবায়ক কমিটির এক নম্বর সদস্য। আমার প্রশ্ন, তাহলে আগের কমিটি ভেঙে কী লাভ হলো। আমাকে তিন নম্বর সদস্য করা হয়েছে, যা আমার জন্য লজ্জার। আমার ওপরে যে দুজন সদস্য হয়েছেন, তারা আমার চেয়ে বয়সে ছোট, রাজনীতিতে তাদের অবদান কখনো দেখিনি। আমার সম্মান নষ্ট করে আমি রাজনীতি করতে পারবো না। আমার সম্মান নষ্ট করতে আফরোজা খান রিতা আমাকে তিন নম্বর সদস্য করেছেন।’
তারেক রহমানের নির্দেশে তাঁর নাম কমিটিতে রাখা হয়েছে বলেও দাবি করেন আতা। তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানের নির্দেশে শুধু আমার নাম রাখা হয়েছে, তাছাড়া সভাপতির লোকজন দিয়েই আহবায়ক কমিটির অনুমোদন করা হয়েছে। এটা পকেট কমিটি হয়েছে। আমি রাজনীতি করতে এসে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হারিয়েছি। জেল-জুলুম খেটেছি। এখন অসম্মানিত হলে আমার কর্মীদের কাছে কী জবাব দিব।’
আতা দাবি করেন, ‘নবগঠিত কমিটির সদস্য গোলাম আবেদীন কায়সার দীর্ঘ ১৫ বছর দেশের বাইরে ছিলেন। ১৫ বছর পর তাঁকে দেশে এনে আহ্বায়ক কমিটির সদস্য করা হয়েছে। অপর সদস্য, সত্যেন কান্ত পণ্ডিত ভজন, তাঁর বাড়ি শিবালয় উপজেলায়। তিনি ছাড়া তাঁর নিজস্ব কোন কর্মী সমর্থক নেই।’
আতা বলেন, ‘বিএনপি নেতা খন্দকার দেলোয়ার হোসেন, বিপদে দলকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। অথচ তাঁর ছেলে বাবলুকে কমিটিতে রাখা হয়নি। বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মইনুল ইসলাম খান শান্ত, তাঁকে কমিটিতে রাখা হলো না। বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা জামিলুর রশিদ, মোতালেব হোসেন ও মহব্বত হোসেনসহ অনেক নেতাকেও রাখা হয়নি।’
‘আমরা সম্মিলিতভাবে দল চালাতে চাই। কিন্তু আফরোজা খান রিতা সেটা না করে তাঁর মনের মত পকেট কমিটি করে নিয়ে এসেছে। আমাদের সভাপতি তাঁর পছন্দের পাঁচজনের নাম দিয়েছে, আর সাবেক সেক্রেটারিসহ ছয়জন আর আমাকে দায় থেকে কমিটিতে রাখা হয়েছে।’
তারেক রহমানের কাছে সুবিচার চেয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমার নেতা তারেক রহমানের কাছে সবিনয় অনুরোধ, আমরা আপনার সৈনিক, আমরা প্রয়োজনে দল ও আপনার জন্য জীবন দিব। কিন্তু আমাদের দিকে একটু তাকান। আমরা সুবিচার চাই। আমাদের মর্যাদা আপনি রক্ষা করেন।’