বিয়ের দুদিন আগে নিখোঁজ যুবকের লাশ ঝুলছিল গাছে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৯ AM , আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৯ AM

জয়পুরহাটে বিয়ের দু-দিন আগে নিখোঁজ হওয়া এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সদর উপজেলার ধারকি শতিঘাটা তুলশী গঙ্গা নদীর পাড়ে থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ওই যুবকের নাম মাহমুদুল হাসান পিপাস (২৮)। তিনি আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দীপুর গ্রামের মৃত মাহবুবুর রহমানের ছেলে। জয়পুরহাট সরকারি কলেজের স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন পিপাস। পাশাপাশি একটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন।
স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল পিপাসের। উভয় পরিবারের সম্মতিতে শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) তাদের বিয়ের কথা ছিল। বিয়ের দু-দিন আগে বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে বাসা থেকে বের হন। রাত ১১টার পরও বাসায় ফেরেননি। সে সময় মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করে নম্বর বন্ধ পায় পরিবার। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন মাহমুদুলের বড় ভাই মেজবাহুর রহমান। সেইসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার নিখোঁজের খবর দিয়ে বন্ধু ও স্বজনরা পোস্ট দেন। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে নদীর পাড়ে এক নারী পাতা কুড়াতে গিয়ে একটি গাছে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত পিপাসের বন্ধু হাসিবুর রহমান বলেন, ‘সাত বছর প্রেমের সম্পর্ক থাকার পর গত শুক্রবার বিয়ে ঠিক হয়েছিল। সে বিয়েতে আমাদের বন্ধু-বান্ধবদের বিয়ের দাওয়াত করেছিল। বিয়ের দুই দিন আগে নিখোঁজ হয়। এ কারণে আর বিয়ে হয়নি। আজকে আমরা তার ঝুলন্ত মরদেহ পেয়েছি।
আরেক বন্ধু শুভ হোসেন বলেন, ‘আমরা বন্ধুর বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এজন্য একটি কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করেছিলাম। ভাড়াও পরিশোধ করেছি। এর মধ্যে হঠাৎ বুধবার সকালে বন্ধু নিখোঁজ হয়ে যায়। আজ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।’
পিপাসের ভাই প্রিন্স বলেন, ‘আমার ভাই আত্মহত্যা করেছে, এমন কথা ভাবতে পারছি না। যে জায়গায় লাশ পাওয়া গেছে, সেখানে দিনের বেলায় লোকজন একা যেতে ভয় পায়। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।’
এ বিষয়ে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ হোসেন বলেন, ‘নিখোঁজের ঘটনায় বৃহস্পতিবার থানায় জিডি হয়। এরপর থেকে আমরা তার সন্ধান করছিলাম। কিন্তু কোথাও পাওয়া যায়নি। রবিবার দুপুরে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা এখনও বলা যাচ্ছে না।’