আলোচিত বক্তা তাহেরীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা, গ্রেপ্তার ৩

গিয়াস উদ্দিন তাহেরী ও হামলার শিকার পুলিশ সদস্য
গিয়াস উদ্দিন তাহেরী ও হামলার শিকার পুলিশ সদস্য  © সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ইসলামী বক্তা গিয়াস উদ্দিন তাহেরীর উসকানিতে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তাহেরীকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ইতোমধ্যে এ মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—উপজেলার নিলাখাদ গ্রামের সোনা মওয়ার ছেলে হানিফ মিয়া (৬০), মোগড়ার গোলাম মোস্তফার ছেলে গোলাম সামদানী শিবলী (৫০), এবং একই এলাকার জহির মিয়ার ছেলে রিমন (২১)। ভিডিও চিত্র ও তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।  

পুলিশের দায়ের করা মামলায় বলা হয়, শুক্রবার বিকেলে নিলাখাদ গ্রামের ধনু মিয়ার বাড়ির সামনের জমিতে একটি ওয়াজ মাহফিল চলছিল। বিনা অনুমতিতে আয়োজিত এই মাহফিলে মুফতি গিয়াস উদ্দিন তাহেরী স্টেজে বসে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন, যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।  

খবর পেয়ে মোগড়া ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিট অফিসার এসআই আবির আহমেদ ও এসআই মো. বাবুল মিয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ পৌঁছানোর পর তাহেরী উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ করে বলেন, আমার সব মাহফিলে পুলিশ বাধা দেয়, এই যে এখন আবার পুলিশ এসেছে, এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমরা সুন্নি জনতা কাউকে ছাড় দেব না।

তার বক্তব্যে উত্তেজিত জনতা লাঠিসোঁটা ও ইট-পাটকেল নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। হামলায় এসআই বাবুল মিয়া আহত হন এবং তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়।  

পুলিশ জানিয়েছে, বেআইনি এই ওয়াজ মাহফিলের আয়োজক ও উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছমিউদ্দিন জানান, তাহেরীকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের নামে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।


সর্বশেষ সংবাদ