কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত যুবদল নেতা জিয়ার মৃত্যু

নিহত যুবদল সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউর রহমান জিয়া
নিহত যুবদল সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউর রহমান জিয়া  © টিডিসি ফটো

রাজধানীর হাজারীবাগে কিশোর গ্যাং ও সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হয়েছেন জাতীয়তাবাদী যুবদল সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউর রহমান জিয়া (৪২)।  ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছয় দিন আশংকা জনক অবস্থায় লাইফ সাপোর্টে থাকার পর মঙ্গলবার ভোররাতে মারা যান তিনি। তাঁর হত্যাকাণ্ডে সুমনের গ্যাংয়ের সদস্যরা জড়িত বলে অভিযোগ করছেন পরিবারের সদস্যরা।

এই ঘটনায় হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী সুমন এবং তার গ্যাং সদস্যরা নিয়মিত ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি এবং অন্যান্য অপরাধে জড়িতের ঘটনায় এদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে রয়েছেন বলে জানা যায়।

স্থানীয় সূত্র বলছে, সুমনের অত্যাচারে গোটা ভাগোলপুর এলাকা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। গত ৫ আগস্টের পর সুমন তার অবৈধ মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও চাঁদাবাজি করে এলাকায় ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।

গত ১৫ নভেম্বর, জিয়া এনায়েতগঞ্জে একটি মিলাদ মাহফিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে মারাত্নক জখমের স্বীকার হন এবং গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এই বিষয়ে, নিহত জিয়ার ভাই সায়েম এবং হাজারীবাগ থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান মজু সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানা যায়, সুমন বর্তমানে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত এবং হাজারীবাগ এলাকায় কিশোর গ্যাং বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তার গ্যাংয়ের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন বাপ্পী, জাফর হোসেন রানা, কালা মানিক, সাইকেল চোর আলামীন, ইয়াসিন, ইয়ামিন ও দাড়ি ওয়ালা আমির, যারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িত।  

এদিকে, সুমনের গোটা পরিবার মাদক ব্যবসার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত এবং তারা অবৈধভাবে কোটি টাকার মালিক হয়েছে। ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা সহ বিভিন্ন মাদক ব্যবসার মাধ্যমে সুমন ও তার পরিবার এলাকার পরিবেশ বিপর্যস্ত করেছে বলেও অভিযোগ করে এলাকাবাসী।


সর্বশেষ সংবাদ